OrdinaryITPostAd

শসা খাওয়ার উপকারিতা কি-অপকারিতা কি জেনে নিন

সুপ্রিয় বন্ধুগণ,  শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া থাকবে আজকের এই পোস্টে। আপনার মনে যদি প্রশ্ন জেগে থাকে যে, শসা  খাওয়ার ফলে আপনার শারীরিক কি পরিবর্তন আসতে পারে বা শসা খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য  কতটুকু উপকারী । নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে যে সমস্ত রোগ থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন।তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শসা খাওয়ার উপকারিতা শসা খাওয়া রয়েছে অনেক অনেক উপকারিতা তাই আমাদের  প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় শসা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্বে আবাদ হওয়ার দিক থেকে শসা চার নম্বরে রয়েছে রূপচর্চা ও মেদ নিয়ন্ত্রণ সহ নানা উপকারিতা আছে এই সবজির

পোস্ট সূচিপত্র :শসা খাওয়ার উপকারিতা কি - অপকারিতা কি

ভূমিকা 

শসার ১১ টি গুণ নিয়ে এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে শসার মধ্যে কি কি ভিটামিন রয়েছে শসা খাওয়ার পর যে তিনটি খাবার খাবেন না শসা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে শসা খাওয়ার উপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম শসা খাওয়ার ফলে শারীরিক কি পরিবর্তন হয় বিস্তারিত আলোচনা এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে ইত্যাদি

শসার হাজার গুণের মধ্যে ১৩ টি গুণ

  • দেহের পানি শূন্যতা দূর করে
  • দেহের ভিতর ও বাইরের তাপ শোষক করে
  • দেহের বিষাক্ততা দূর করে
  • কিডনিতে থাকা পাথর গলাতে সাহায্য করে
  • ত্বকের পরিচর্যায় শসা ভূমিকা রাখে
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে শসা
  • কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সাহায্য করে শসা
  • চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে শসা
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে শসা
  • শশা ক্যান্সার ঠেকাতে কাজ করে
  • চুল ও নখ সতেজ রাখতে সাহায্য করে শসা
  • মাথা ধরা দূর করতে সাহায্য করে থাকে শসা
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে শসা


শসার হাজার গুণের মধ্যে ১৪ টি গুণ তুলে ধরেছেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা। চলুন আমরা এক এক করে চৌদ্দটি গুণ সম্পর্কে জানি। এক নম্বর দেহের পানি শূন্যতা দূর করে। কারণ শসার নব্বই শতাংশ পানি। দুই নম্বর দেহের ভেতর ও বাইরের তাপ শোষক করে শসা সূর্যের রোধে ত্বকে জালা অনুভব করলে শসা কেটে চোখে দিন তাহলে জ্বালা চলে যাবে।

 তিন নম্বর দেহের বিষাক্ততা দূর করে শসা। নিয়মিত শসা খেলে আপনার কিডনিতে যদি পাথর থেকে থাকে তাহলে পাথরগুলো গলে যাবে। চার নম্বর ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে। প্রতিদিন আমাদের দেহে যে ভিটামিনের প্রয়োজন হয় তার অধিকাংশ ভিটামিন আসে শসা থেকে। পাঁচ নম্বর ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। কারণ শশায় আছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। 

শসা ওজন কমাতে সাহায্য করে নিয়মিত শসা খেলে আপনার ওজন কমে যাবে। শসা দ্রুত খাবার হজম করতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধ করতে পারে শসা যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তাহলে আপনার নিয়মিত খেতে পারেন।

পাঁচ নম্বর চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে শসা শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসে রাখলে চোখের আশেপাশের ময়লা অপসারণ হয় এবং চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায় তাই আমরা যদি চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে চাই তাহলে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতার উপরে দিয়ে রাখতে পারে তাহলে আমরা কাঙ্খিত ফলাফল পাব। 

আপনারা যদি আপনাদের চোখে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে দেন তাহলে আপনার চোখে কখনো ছানি পড়বে না। ৬ নম্বর শসা ক্যান্সার ঠেকাতে কাজ করে ৭ নম্বর ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয় কোলেস্টেরল কমায় ওরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। 

আট নম্বর মুখ পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখে শসা। নয় নম্বর চুল ও নখ সতেজ রাখে। ১০ নম্বর গেটেবাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ১১ নম্বর মাথা ধরা দূর করে। ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মাথা ধরে শরীর ম্যাশ ম্যাশ করে, নিয়মিত শসা খেলে মাথা ধরা দূর হয়ে যাবে।

শসার মধ্যে কি কি ভিটামিন রয়েছে

শসার মধ্যে কি কি ভিটামিন বিদ্যমান রয়েছে  প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে ও ভিটামিন সি রয়েছে এর মধ্যে ভিটামিন ছাড়াও তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল পাওয়া যায় যেমন পটাশিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম ম্যাঙ্গানিজ , এন্টি অক্সিডেন্ট ক্যাফিক অ্যাসিড, এস করোভীক এসিড 

শসা খাওয়ার পর যে তিনটি খাবার খাবেন না 

শসা খাওয়ার পরে যে তিনটি খাবার আমাদের পরিহার করা উচিত।যেমন টমেটো লেবু রস ও পানি এগুলো পরিহার না করলে আমাদের দেহের অনেক ক্ষতি হয় তাই আমাদের সকলের উচিত শসা খাওয়ার পরে এই তিনটি খাবার থেকে বিরত থাকা তাহলে আমরা সুস্থ সবল সতেজ ও রোগ মুক্ত থাকতে পারবো।

শসা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে

 ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখ শসা ওজন কমাতে সাহায্য করে নিয়মিত সঠিক সময়ে শসা খেলে আমাদের দেহের উপকারিতা পাওয়া যায় ।প্রচুর পানি থাকায় শসা খাওয়া সবার জন্য ভালো। তবে সারাদিন শুধু শসা খেয়ে থাকা কিন্তু ভালো না। আবার অতিরিক্ত শসা খেলে আমাদের সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। অনেকেই আছেন শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্য শসা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করেন


 ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণ মতো শসা খেয়ে থাকেন। কথা সত্য শসা কিন্তু ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে থাকে। কেননা শশাই রয়েছে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি, শসা তে পানির পরিমাণ থাকে অনেক বেশি প্রায় ৯০ শতাংশ। পটাশিয়াম রয়েছে শসাতে এছাড়া আরো বেশ কিছু উপকারী মিনারেল রয়েছে ।প্রশ্নটা হচ্ছে শুধু শসা খেয়ে আপনি যদি চেষ্টা করেন ওজন কমানোর তাহলে একটা সময় পরে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন আপনাকে হতে হবে। 

 শসা খাওয়ার অপকারিতা ওপার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

কেননা অতিরিক্ত শসা খেলে গ্যাস হতে পারে। ওজন কমানোর জন্য অনেকে শুধু শসা খেয়ে থাকে অন্যান্য সবজি তার খাবার তালিকায় স্থান পায় না এতে করে অন্যান্য সবজির পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হয় এবং দেহের ভিতরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়
যেমন :চুল পড়া , ওজন কমে যাওয়া , হাতে পায়ে পানি চলে আস, শরীর দুর্বল হয়ে যায়, উল্লেখযোগ্য। 

শসা খেলে কেন ওজন কমে আসুন জেনে নেয়া যাক শসা আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সেজন্য  ক্ষুদা কম লাগে। শশায় ক্যালরির পরিমাণ কম বলে শসা পেট ভরে খেলে ও ক্যালোরিটাকে কন্ট্রোল করা সম্ভব ।খেলে আমাদের ওজন কমে যায় তাই আমাদের ওজন কমানোর জন্য শসা খাওয়ার কোন বিকল্প নেই কোন কোন ব্যক্তিদের শসা খাওয়া উচিত নয় এবং কেন উচিত নয় আসুন জেনে নেয়া যাক।

যে সকল মানুষদের শসা খেলে ক্ষতি হয়

 শসা খেলে আমাদের কি কি ক্ষতি হতে পারে ও শসা খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জানুন। যে সকল ব্যক্তিদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের বেশি শসা খাওয়া উচিত নয় খেলে তাদের ক্ষতি হবে। কারণ এটি তাদের শরীরে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে যা উনাদের জন্য ক্ষতিকর।

 রক্ত পাতলা ব্যক্তির বেশি শসা খাওয়া উচিত নয় কারণ তাদের দেহের মধ্যে ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাধাকে আরো কঠিন করে তুলতে পারে ।যে সকল ব্যক্তিদের বাত এবং পিত্তের সমস্যা রয়েছে সে সকল ব্যাক্তিদের বেশি পরিমাণে শসা খেলে ক্ষতি হয়।

শসা খাওয়ার সঠিক নিয়ম

শসা খাওয়ার রয়েছে সঠিক সময় আমাদের প্রতিটি মানুষের উচিত সঠিক সময়ে উপকারী সবজিটি বা ফলটি আমরা যাই বলে থাকি না কেন খেতে হবে তাহলে আমরা এই ফলটি থেকে সম্পন্ন পুষ্টিগুণ পাব শসার ত্বকে থাকে উচ্চমানের ফাইবার তাই শসার  ত্বক কেটে ফেলে দেয়া উচিত নয় ত্বকসহ খেতে পারলে উপকারটা বেশি পাওয়া যায় খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে

বদহজম, গ্যাস, চিরজীবনের জন্য বিদায়

যে সকল ব্যক্তিদের গ্যাস এসিডিটি রয়েছে সে  সকল ব্যক্তিরা যদি অতিরিক্ত শসা খান তাহলে বদহজম গ্যাস এসিটিটি বেড়ে যেতে পারে সঠিক সময়ের শসা না খেলে গ্যাস বদহজম এসিডিটি বেড়ে যেতে পারে যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাদের সঠিক নিয়মে সঠিক সময়ে শসা খাওয়া উচিত তা না হলে সমস্যায় পড়তে হয় 

শসা খাওয়ার ফলে শারীরিক কি পরিবর্তন হয়

নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে আমাদের শারীরিক অনেক পরিবর্তন সাধিত হয় আসুন জেনে নেয়া যাক নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে কি কি পরিবর্তন হয়। আমাদের ত্বক সতেজ থাকে

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আশা করি পুরো পোস্টটি পড়ে আপনি শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। শসা সম্পর্কে যদি আপনার আরো কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে, জানাবেন আপনার উত্তর দেয়ার জন্য সব সময় প্রস্তুত  আমি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪