বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি জেনে নিন
পোস্ট সূচিপত্রঃ বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি জেনে নিন
- ভূমিকা
- বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ
- বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা নেই
- জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক
- জ্বর আসা কিংবা প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া
- স্বাভাবিক আচরণ না করা অথবা পাগলের মত আচরণ করা
- হঠাৎ করে হিংস্র হয়ে ওঠা অথবা অন্যান্য প্রাণীকে আক্রমণ করা
- ডাকের মধ্যে পরিবর্তন আসা
- মুখ দিয়ে লালা ঝরা
- ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া
- পানি পান বন্ধ করে দেয়া কিংবা ভয় পাওয়া।
ভূমিকা
বন্ধুরা বিড়াল একটি অতি আদর সোহাগ ও ভালোবাসার প্রাণী। আমাদের মাঝে অনেকে আছেন বাসা বাড়িতে শখের বসে বিড়াল পালন করে থাকেন। আপনাদের পোষা প্রাণীটি আপনাদের অজান্তেই ভয়ংকর কিছু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে, এ সমস্ত রোগগুলোর মধ্যে জলাতঙ্ক রোগটিও পড়ে। জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে আমাদের পৃথিবীতে প্রতিদিন অসংখ্য বিড়াল মারা যাচ্ছে।
আরো পড়ুন: শসা খাওয়ার উপকারিতা কি
আপনারা যদি আপনার শখের প্রাণীটিকে জলাতঙ্ক রোগ থেকে দূরে রাখতে চান এবং জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ দেখা মাত্র সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। এই পুরো পোস্টটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন আপনার বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগ হয়েছে কি হয়নি এবং আপনার বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সেই সাথে আরও জানতে পারবেন জলাতঙ্ক রোগ হলে আপনার কি করণীয়।
বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ
১. জ্বর আসা অথবা প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া।
২.স্বাভাবিক আচরণ না করা কিংবা পাগলের মত আচরণ করা।
৩. হঠাৎ করে হিংস্র হয়ে ওঠা অথবা অন্যান্য প্রাণীকে আক্রমণ করা।
৪. অন্যরকম ভাবে ডাকা কিংবা ডাকের মধ্যে পরিবর্তন আসা
৫. মুখ দিয়ে লালা ঝরা
৬ ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া
৭ পানি পান না করা ও ভয় পাওয়া
এগুলো হল বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের প্রধান প্রধান লক্ষণ।
বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা নেই
আমরা জানি প্রিয় বন্ধুরা, বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের কোন চিকিৎসা নেই। কোন বিড়ালের যদি জলাতঙ্ক রোগ হয় তাহলে সে বিড়াল মারা যাবে তাকে কোনোভাবেই বাঁচানো যাবে না। তবে হ্যাঁ সঠিক সময়ে যদি আপনার বিড়ালকে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক দেয়া হয় তাহলে আপনার বিড়ালটি সুস্থ হয়ে যেতে পারে ইনশাআল্লাহ।
বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক
রেবিস ভ্যাকসিন জলাতঙ্ক রোগের একমাত্র প্রতিষেধক। এই ভ্যাকসিনের মূল্য ১ হাজার
টাকা থেকে ১ হাজার পাঁচশত টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন চিকিৎসক
বিভিন্ন দামে এই ভ্যাকসিন টি বিক্রয় করে থাকেন ।এই ভ্যাকসিনগুলো
সাধারণত পশু চিকিৎসকের কাছে আপনি পেয়ে যাবেন।
জ্বর আসা কিংবা প্যারালাইস হয়ে যাওয়া
জ্বর আসা কিংবা প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া হলো বিড়ালের জলআতঙ্ক রোগের একটি প্রধান লক্ষন জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকি একের পর এক।
স্বাভাবিক আচরণ না করা অস্বাভাবিক আচরণ করা
অথবা পাগলের মত আচরণ করা হলো জলাতঙ্ক রোগের একটি বিশেষ লক্ষণ। এসময় বিড়াল
অস্বাভাবিক আচরণ করে থাকে স্বাভাবিক আচরণ করে না। এ সময় স্বাভাবিক আচরণ করার
পরিবর্তে বিড়ালকে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায়।
হঠাৎ হিংস্র হয়ে ওঠা কিংবা অন্যান্য পানিকে আক্রমণ করে বসা
হঠাৎ হিংস্র হয়ে ওঠা কিংবা অন্যান্য পানিকে আক্রমণ করে বসা একটি অন্যতম লক্ষণ। এই লক্ষণটি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে প্রকাশ পেয়ে থাকে সাধারণত। এসময় বিড়াল অস্বাভাবিক আচরণ করে থাকে স্বাভাবিক আচরণ করার পরিবর্তে।
বিড়ালের ডাকের মধ্যে পরিবর্তন আসা
বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের আরেকটি অন্যতম লক্ষণ হল ডাকের মধ্যে পরিবর্তন আসা। এসময় বিড়াল অন্যরকম ভাবে ডাক দেয় যেভাবে কোন সুস্থ বিড়াল ডাক দেয় না।
বিড়াল সাধারণত মিউ মিউ মিউ করে ডাকে কিন্তু আপনার বিড়াল যখন এভাবে না ডেকে অন্যভাবে ডাকবে তখন আপনি বুঝে নেবেন আপনার বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে।মুখ দিয়ে লালা ঝরা
জলাতঙ্ক রোগের আরেকটি বিশেষ লক্ষণ হল মুখ দিয়ে লালা ঝরা। এসময় বিড়ালের
মুখ দিয়ে লালা ঝরতে দেখা যায়। আপনার বিড়ালের মুখ দিয়ে লালা ঝরলে আপনি
বুঝবেন আপনার বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া
ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের একটি বিশেষ লক্ষণ।
এসময় বিড়াল ঘন ঘন শ্বাস নিয়ে থাকে। আপনার বিড়াল যদি ঘন ঘন শ্বাস নেয় তাহলে
আপনি বুঝে নেবেন আপনার বিড়ালের জলতঙ্ক রোগ হওয়ার আগ মুহূর্তে লক্ষণ
পানি পান বন্ধ করে দেয়া ও ভয় পাওয়া
পানি পান বন্ধ করে দেওয়া ভয় পাওয়া হলো বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের একটি
অন্যতম লক্ষণ। যখন দেখবেন আপনার বিড়াল পানি পান করা বন্ধ করে দিয়েছে তখন
ভাববেন যা আপনার বিড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে এবং তখনই আপনি এর প্রতিষেধক
দিয়ে দিবেন তাহলে আপনার বিড়াল সুস্থ হয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।
লেখক এর মন্তব্য
পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই ,বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের কোন চিকিৎসা নেই। কিন্তু এই রোগের প্রতিষেধক রয়েছে সেটি হল রেবিস ভ্যাকসিন। এই রেবিস ভ্যাকসিন পশু চিকিৎসকের নিকট পাওয়া যায়। রেবিস ভ্যাকসিন এর মূল্য ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে তবে স্থান-কাল পাত্র ভেদে দামের কম বেশি হতে পারে ।
আপনি চাইলে এই পোষ্টের বিষয়ে যেকোনো ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন আপনার পোষ্টের উত্তর দেওয়ার জন্য আমি সবসময় প্রস্তুত আছি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url