OrdinaryITPostAd

আসল খেজুরের গুড় চেনার উপায়-খাঁটি গুড়ের উপকারিতা জেনে নিন



 সুপ্রিয় বন্ধুরা, আপনারা যদি আসল খেজুরের গুড় চেনার উপায় না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নেবেন। তাহলে আসল খেজুরের গুড় চেনার উপায় জানতে পারবেন ।যেহেতু আজকের এই পোস্ট জোরে আসল খেজুরের গুড় চেনার উপায়গুলো উল্লেখ করা হবে।
এখান থেকে আপনি আসল খেজুরের গুড় চেনার উপায় গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পেয়ে যাবেন। সেই সাথে আপনি আরো জানতে পারবেন খাঁটি গুড়ের উপকারিতা সম্পর্কে। খেজুরের গুড় সাধারণত বাজারে ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে এবং আমাদের প্রয়োজনমতো গুড় আমরা শেখান থেকে সংগ্রহ করে থাকি।
অনেক সময় ভেজাল যুক্ত গুড় আসল খেজুরের গুড় বলে ক্রেতা নিকট বিক্রি করে থাকেন বিক্রেতা ।আসল গুড় চেনার উপায় না জানা থাকার কারণে ভেজালযুক্ত  গুড় আসল ভেবে বিক্রেতার কাছ থেকে আমরা কিনে থাকি ।আপনারা যদি আসল গুড় চেনার উপায় জেনে থাকেন তাহলে খুব সহজেই  বুঝতে পারবেন এটা আসল খেজুরের গুড় নাকি আসল খেজুরের  গুড় নয়।

পোস্ট সূচিপত্র আসল খেজুরের  গুড় চেনার উপায় খাটি গুড়ের উপকারিতা জেনে নিন।

ভূমিকা

আমরা জানি, দেশের কিছু সংখ্যক  অসাধু বা  অসৎ ব্যবসায়ী  চিনি ও রসায়নিক রং দিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি করে ।গুড়ের রং উজ্জ্বল করতে মেশানো হয় চিনি হাইড্রোজ, ফিটকিরি ও রাসায়নিক। তবে আসল  গুড় চেনার উপায় আছে।  চেনার উপায় গুলো জেনে রাখুন, তাহলে আপনাকে কেউ ঠকাতে পারবে না ।কারণ চেনার উপায়গুলো জানা থাকলে আপনি সহজেই ভালো মন্দের পার্থক্যটা নির্ণয় করতে পারবেন। আসুন আমরা সবাই সচেতন হই, নির্ভেজাল  গুড় সংগ্রহ করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাই।

আসল খেজুরের  গুড় চেনার উপায়

  • গুড় ক্রয়  করার সময় ভাঙ্গন এবং খেয়ে দেখুন খেতে যদি  নোনতা  স্বাদের হয় তবে এ গুড়ে ভেজাল আছে
  • গুড়ের ধারটি দুই আঙ্গুল দিয়ে চাপুন যদি নরম লাগে তাহলে আসল গুড় আর যদি শক্ত লাগে তাহলে আসল গুড় না।
  • গুড়ের রং হলো  গারো বাদামি বা কালচে লাল কিন্তু অনেক সময় অনেক বেশি রাসায়নিক মেশানোর ফলে গুড়ের রং হলদেটে হতে পারে
  • খাঁটি বা আসল খেজুরের গুড় বেশি উজ্জ্বল ও চকচকে হবে না
  • কথায় আছে চকচক করলে সোনা হয় না গুড়টি যদি চকচক করে তাহলে বুঝে নেবেন গড়ে প্রচুর পরিমাণে চিনি মেশানো রয়েছে
  • দুধের যেমন নিজস্ব রং হলো সাদা ঠিক তেমনি গুড়েরও একটি নিজস্ব রং রয়েছে সেটি হল   কালচে লালখাঁটি গুড়ের উপকারিতা অনেক।

খেজুরের গুড়ের উপকারিতা

  • খেজুরের গুড় চিনির থেকে হাজারগুন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো ।কারণ খেজুরের গুড়ে আছে লৌহ,  ফসফরাস,   ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম জাতীয় খনিজ।
  • কোল্ড এলার্জি থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে থাকে খেজুরের গুড়।
  • খেজুরের গুড় ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • খেজুরের গুড় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • খেজুরের গুড় ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।
  • খেজুরের গুড় রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। গুড় রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
  • পাকস্থলী ফুসফুস অস্ত্র খাদ্যনালী সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
  • গলাব্যথা , কফ ,খুসখুস বা  ফোলা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে থাকে।
  • গুড় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে। কারণ এতে আছে ক্যালোরিফিক।
  •  খেজুরের গুড় আর্থিক স্বচ্ছলতা ও ও গুড় বিক্রি করে যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চালানো সহজ হয়ে যায় শীতকালে।

খেজুরের রস  ও  গুড়ের প্রাপ্তিস্থান

খেজুরের গাছ থেকে রস এবং এই রস থেকে আমরা সাধারণত গুড় পেয়ে থাকি। প্রথমে খেজুরের বীজ থেকে চারা হয় এবং সেই চারা ধীরে ধীরে বড় হয়ে রস দেওয়ার উপযোগী হয় তখন আমরা গাছ থেকে ডালগুলো সেটে ফেলে দিয়ে গাছ লাগানোর উপযুক্ত করে গড়ে তুলি এবং লাগায় গাছ লাগানোর ফলে গাছ থেকে রস বের হয় এ রস  মাটির পাতিলে জমা হয় সেখান থেকে  জাল  দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়।

আরো পড়ুন: শসা খাওয়ার উপকারিতা

 আমাদের দেশে  অসংখ্য  গাছ রয়েছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও অসংখ্য খেজুরের গাছ  রয়েছে। শীতকালে বাংলাদেশের প্রায় বিভিন্ন জেলাগুলোতে খেজুরের  গুড় পাওয়া যায়। যেমন যশোর, রাজশাহী,  বগুড়া ও সাতক্ষীরা, ফরিদপুর ইত্যাদি।

লেখকের মন্তব্য

আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি আসল খেজুরের গুড় চেনার উপায় ও খাটি গুড়ের উপকারিতা। তবে আসল খেজুরের গুড় চেনার আরো একটি চমৎকার উপায় আছে। চলুন জেনে নেয়া যাক কি সেই চমৎকার  উপায়টি গুড়ের সঙ্গে  চিনি মিশিয়ে পাটালি তৈরি করা হলে  গুড় বেশ শক্ত ও মজবুত হয়। আর গুড়ের সঙ্গে  চিনি না মেশালে গুড়টি বেশ নরম ও রসালো হয় তাহলে গুড় যদি নরম হয় তাহলে বুঝবেন এটি ভালো মানের বা স্বাস্থ্যসম্মত । 

ভেজালমুক্ত গুড় খেলে আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে। গলা ব্যথা  খোসখুস থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে। ওজন কমাতে সাহায্য করে  ও ফুসফুস অস্ত্র খাদ্যনালী সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪