OrdinaryITPostAd

তায়কোয়ান্দো শেখায় মেয়েদের সংখ্যা বাড়ছে কেন


 রণকৌশলটির নাম তায়কোয়ান্দো । ১৯৮৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী মার্শাল আর্ট হিসেবে বিবেচিত হয় ।এ কৌশলে রক্তপাতের বালাই নেই। দুই হাত ও দুই পা অস্ত্র হিসাবে কাজ করে। আর মস্তিষ্ক কাজ করে কমান্ড হিসেবে।মানব দেহকে ভয়ংকর অস্ত্রে পরিণত করার যে রণকৌশল আমরা তাকে সাধারণত  র্মার্শাল আর্ট বলে থাকি । পথে-ঘাটে যৌন নির্যাতন সহ যেকোনো পরিস্থিতিতে খালি হাত ও পা দিয়ে শত্রুকে মোকাবেলা করা সম্ভব। দক্ষিণ কোরিয়ার এ মার্শাল আর্ট বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

দেশের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টি স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় লাখ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দো  ফেডারেশন। ২০১৩ সাল থেকে শুরু হওয়া ফেডারেশনের এ কার্যক্রমে মেয়েদের সংখ্যা বাড়ছে । মেয়েরা প্রথমদিকে মফস্বল শহরে তায়কোয়ান্দো  শিখতে এবং শেখাতে গিয়ে ভালোই বিপাকে পড়তে হতো। মফস্বলের মেয়ের এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।

পোস্ট সূচিপত্র:তায়কোয়ান্দো  শেখায় মেয়েদের সংখ্যা বাড়ছে

ভূমিকা
মেয়েদের তায়কোয়ান্দো  শেখার উপকারিতা।
মেয়েদের শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠা
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনেতায়কোয়ান্দো মার্শাল আর্টের প্রয়োজনীয়তা
মেয়েদের আত্মনির্ভরশীল ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা
সাধনা, দম, শক্তি, নমনীয়তা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে তায়কোয়ান্দো এর গুরুত্ব
ইভটিজিং ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে তায়কোয়ান্দো 
সুন্দর চেহারা ও আকর্ষণীয় ফিগার গঠনে তায়কোয়ান্দো এর গুরুত্ব 
বেল্টের প্রকারভেদ

ভূমিকা


রণকৌশলটির নাম তায়কোয়ান্দো . এ কৌশলে রক্তপাতের বালাই নেই। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় খেলা। যুদ্ধের কৌশল, ব্যায়াম, খেলাধুলা ইত্যাদি। দুই হাত ও দুই পা অস্ত্র হিসেবে কাজ করে। রাস্তাঘাটে অহরহ মেয়েদের হেনস্তা হতে হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মেয়ে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে সে চিন্তা তো প্রতিটি বাবা মায়ের মাথায় আছে। এখন প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যায় বেশি। অভিভাবকেরা উৎসাহী হয়েছেন বলেই এটা সম্ভব হচ্ছে।

মেয়েদের তায়কোয়ান্দো শেখার উপকারিতা


মেয়েরা নিরাপদে পথ চলতে পারে এবং তার সাথে অন্যায় হলে সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে। রাস্তাঘাটে কোন অঘটন ঘটলে তারা প্রতিবাদ করার সাহস অর্জন করে। ফলে আমাদের দেশ, সমাজ এমনকি পরিবার থেকে ইভটিজিং অনেক কমে গিয়েছে। আর আমরা যারা এ চর্চার সঙ্গে যুক্ত তারা রাস্তায় ইভটিজিং করি না।পথে-ঘাটে নারীদের হেনস্থা হতে দেখলে প্রতিবাদ করি।

মেয়েদের শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠা


এটা চর্চা করলে যে কোন বিষয়ে ফোকাস করা সহজ হয়, যা পড়াশোনার ক্ষেত্রেও কাজে লাগে ব্যায়াম করলে সুস্থ থাকা যায় মন ও সুস্থ থাকে। এটি নিয়মিত চর্চা করার ফলে মেয়েরা শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠেন।

মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে তায়কোয়ান্দো  মার্শাল আর্টের প্রয়োজনীয়তা


মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে মার্শাল আর্টে প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। খেলাধুলা মানুষকে মাদক দ্রব্য থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে থাকে। প্রতিটি খেলোয়াড় মাদকমুক্ত জীবনযাপন করতে চাই। মার্শাল আর্টের চর্চা করলে মানুষের চিন্তাশক্তি সতেজ থাকে। তাই আমরা বলতে পারি, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে মার্শাল আর্টের বিকল্প নেই।

মেয়েদের আত্মনির্ভরশীল  ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা


নিয়মিত মার্শাল আর্ট চর্চা করার ফলে মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠে। পথে-ঘাটে আত্মরক্ষার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের খেলোয়ার হিসেবে তৈরি করার প্রক্রিয়াও চলছে। বলা যায় রথ দেখা ও কলা বেচা একসঙ্গে হচ্ছে। অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের উপর নির্ভরশীল হওয়াকে আত্মনির্ভরশীল বলা হয়। সেই সাথে নিজের উপর নিজের বিশ্বাস থাকে আত্মবিশ্বাসী মানুষ বলে বিবেচনা করা হয়। 

সাধনা, দম ,শক্তি ,নমনীয়তা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে তায়কোয়ান্দো এর গুরুত্ব


সাধনা ,দম ,শক্তি, নমনীয়তা এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ তায়কোয়ান্দো   মার্শাল আর্টের গুরুত্ব অপরিসীম। এই মার্শাল আর্টটি  নিয়মিত চর্চা করার ফলে মানব দেহ শক্তিশালী এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহন করার ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে। সেই সাথে সাধনা, ক্ষীপ্রতা, নমনীয়তা,  ভদ্রতা, অধ্যাবসায় , দম , শক্তি, সাহস বৃদ্ধি পেয়ে থাকে ।

ইভটিজিং ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে   তায়কোয়ান্দো 


ইভটিজিং ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে তায়কোয়ান্দো এর ভূমিকা অপরিসীম। ইভটিজিং হল সামাজিক ব্যাধি । দিন দিন আমাদের দেশে ইভটিজিং বৃদ্ধি পাচ্ছে । ইভটিজিং কে আমাদের সমাজ থেকে চিরতরে বিদায় জানাতে মার্শাল আর্টের বিকল্প নেই ।এ  কৌশল শিখলে পথে ঘাটে ছেলেমেয়েদের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে । আর রাস্তাঘাটে অহরহ মেয়েদের হেনস্থা হতে হচ্ছে এ ধরনের পরিস্থিতিতে মেয়ে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে। উত্তপ্ত কারীরা কিংবা ইভটিজিংকারীরা মেয়েদের ইভটিজিং করার সাহস পাবে না। ফলে আমরা ইভটিজিং মুক্ত দেশ গড়তে পারবো ইনশাল্লাহ।

সুন্দর চেহারা ও আকর্ষণীয় ফিগার গঠনে তায়কোয়ান্দো এর ভূমিকা


সুন্দর চেহারা ও আকর্ষণীয় ফিগার গঠনে এই মার্শালটটির ভূমিকা অতুলনীয়। নিয়মিত এই মার্শালটি চর্চা করার ফলে চেহারা সুন্দর হয় এবং আকর্ষণীয় ফিগার গঠনে যথেষ্ট ভূমিকা রেখে থাকে। 
সেই সাথে মানব দেহকে সুস্থ সবল ও রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে থাকে । দক্ষিণ কোরিয়ার এই মার্শাল আটটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ।

বেল্টের প্রকারভেদ

বয়স নয় , কে কত দক্ষ তার ভিত্তিতে প্রশিক্ষনার্থীদের কোমরে বাধা আছে সাদা, হলুদ , হলুদ-সবুজ সবুজ , সবুজ -নিল , নিল , লাল , লাল- কালো এবং কালো বেল্ট ইত্যাদি ।

লেখকের মন্তব্য

আমি খুবই একজন স্বল্প মেধা সম্পন্ন ব্যক্তি। সুতরাং আর্টিকেল লিখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি হলে ,ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবে , সুস্থ থাকবেন সবার জন্য শুভকামনা রইল ,খোদা হাফেজ।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪