OrdinaryITPostAd

কি কি কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করা বিস্তারিত জানুন

 বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। সমাজের সকল পর্যায়কে তথ্যপ্রযুক্তি স্পর্শ করেছে। আর এই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে কম্পিউটার । ডিজিটাল কম্পিউটার দিয়ে বহুমুখী কাজ করা যায় বিধায় বর্তমানে কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় । 

ডেটা প্রসেসিং, শিক্ষা, গবেষণা , চিকিৎসা , ব্যবসা -বাণিজ্য, ব্যবস্থাপনা , ব্যাংক বীমা সামরিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। কম্পিউটারের কাজের ক্ষেত্রটি অনেক বেশি। এখন বরং বলা হয় যে কম্পিউটারের ব্যবহার নেই এমন কোন দৈনন্দিন জীবনে ও আমাদের নেই।

  • ভূমিকা,
  •  ডেটা প্রসেসিং এ কম্পিউটারের ব্যবহার
  •  শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার 
  • সামরিক ক্ষেত্রে
  • মুদ্রণ শিল্পে
  • ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে
  • ব্যাংক বিমার ক্ষেত্রে
  • তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে
  • যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে
  • গবেষণার ক্ষেত্রে
  • চিকিৎসার ক্ষেত্রে
  • বিনোদনের ক্ষেত্রে
  • ইন্টারনেট ব্যবহার

ভূমিকা

কম্পিউটারের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে পৃথিবীতে। ডেটা প্রসেসিং, শিক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসা, ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদিতে কম্পিউটার ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম্পিউটারের ব্যবহার আগামী তে আরো বৃদ্ধি পাবে আশা করা যায়।

 ডেটা প্রসেসিং এ কম্পিউটারের ব্যবহার

গাণিতিক ও পরিসংখ্যান বিষয়ক হিসাব নিকাশ ও ডেটা প্রসেসিং যেমন -পেরোল , একাউন্টিং, ওয়ার্ড প্রসেসিং ইত্যাদি যাবতীয় কাজ ডেটা প্রসেসিং এর অন্তর্ভুক্ত ।নিচে কম্পিউটারের দিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু ডেটা প্রসেসিং এর কাজ উল্লেখ করা হলোঃ

(ক) পেরোলঃ বড় বড় প্রতিষ্ঠানে পেরোল প্রসেস করতে অর্থাৎ কর্মীদের মূল বেতন বিভিন্ন প্রকার ভাতা ওভারটাইম আয়কর প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি যোগ বিয়োগ করে মোট বেতনের হিসাব তৈরি করতে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়

(খ) বিক্রয় ও স্টকের হিসাব রাখাঃ সাহায্যে বিক্রয়ের অর্থাৎ কোন পণ্য কি পরিমানে কত দামে এবং সারাদিনের মোট বিক্রয় কত এবং দিন শেষে কি পরিমান পণ্য স্ট্রোকের আছে তা হিসাব করা যায়।

(গ) বার কোডঃ বারকোড হচ্ছে সাদা ও কালো রেখার সমাহার একে ইউনিভার্সাল প্রোডাক্ট কোড ও বলে বারকোড এ পণ্যের দাম দাম ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান লেখা থাকে কম্পিউটার বারকোড রিডারের সাহায্য বার করতে পরে এবং এই থেকে বিকৃত পণ্যের বিল তৈরি করে সেই সাথে বিকৃত পণ্যের স্টক এর উপযুক্ত সমন্বয় সাধন করে।

( ঘ) ওয়ার্ড প্রসেসিংঃ কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিং প্যাকেজ ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকার টাইপ ও লেখালেখি করা যায়।ওয়াড ওয়ার্ড প্রসেসিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার লেখালেখি যেমন -চিঠি ,দলিল, বই পুস্তক টাইপ করা যায় ।বর্তমানে সাধারণ টাইপের বদলে ওয়ার্ড এর ব্যবহার হচ্ছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার

 (ক)শিক্ষা দানঃ প্রাথমিক শ্রেণীগুলোতে কার্টুন চিত্রের মাধ্যমে বর্ণপরিচয়, গল্পের মাধ্যমে শিক্ষাদান , এছাড়াও স্থির ও চলমান চিত্রের সাহায্যে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন কম্পিউটারের সাহায্যে করা যায়।

(খ) গবেষণার কাজঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা এনাটমি, ফিজিওলজি ইত্যাদি বিষয় অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে অবলোকন করতে পারে ।এছাড়া প্রকৌশলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কম্পিউটার এইরকম সুযোগ দিয়ে থাকে।

(গ) তথ্য সংরক্ষণঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাবতীয় তথ্য কম্পিউটারের সাহায্য সংরক্ষণ করা যায় এবং তা পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী স্মৃতি থেকে নিয়ে বিভিন্ন কাজ করা যায়।

(ঘ) পরীক্ষার ফলাফল তৈরি প্রকাশ ও সংরক্ষণঃ পরীক্ষার ফলাফল তৈরিতে কম্পিউটার ব্যাপকভাবে সাহায্য করে থাকে ।এছাড়া নৈবিত্তিক বিষয়ের উত্তরপত্র কম্পিউটারের মাধ্যমে নাম্বারিং করে ফলাফল তৈরি করে তা প্রকাশ ও সংরক্ষণ করা যায়।

সামরিক ক্ষেত্রে

যে কোন দেশের ক্ষেত্রেই সামরিক বাহিনী সে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকে। এখানে দৈনন্দিন কাজের জন্য যেমন- রাডার পরিচালনা ,সৈন্যদের প্রশিক্ষণ এবং সমর কৌশলের সঠিক বন্টনে ব্যাপকভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করা হচ্ছে। চালকবিহীন ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ক্রজ মিসাইল রাডারকে ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্য স্থলে সঠিকভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হচ্ছে। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রাডার দিয়ে শত্রু বিমানের আগমনী বার্তা অবস্থান ও গতি নিরূপণ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাকে ধ্বংস করার যুদ্ধের অস্ত্র তৈরি হয়েছে।

মুদ্রণ শিল্পে

কম্পিউটারের ফলে মুদ্রণ শিল্পেও যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সাম্প্রতিককালে মাইক্রো কম্পিউটার গুলোর ও মুদ্রণ শিল্পের সহযোগী হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে  অক্ষর স্থাপনে যেখানে ব্যবহার করা হতো গতানুগতিক এবং কায়েক শ্রম সেখানে এখন কম্পিউটার ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে কাজের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং খরচ কমে এসেছে অনেক পরিমান। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মুদ্রণ শিল্পে কম্পিউটার ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে

যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য উপাত্ত বা তথ্য সংরক্ষণ প্রয়োজনীয় ও ইচ্ছামত প্রতিবেদন প্রদান মজুদতমাল নিয়ন্ত্রণ এয়ার লাইসেন্স এর টিকিট বুকিং কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য খরচের হিসাব ,আই ব্যয় হিসাব প্রস্তুত বাজেট  ও হিসাব নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসায়িক, যোগাযোগ পত্রপত্রিকার নকশা করন ইত্যাদির ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ।বর্তমান যুগের তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবিকাশ ও ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার এত এ বাড়িয়ে দিয়েছে যে মনে হয় কম্পিউটার ছাড়া বিকল্প কিছু চিন্তা করা সম্ভব নয়। 

ব্যাংক বীমার ক্ষেত্রে

বিশেষ ধরনের কম্পিউটার টার্মিনালের সাহায্যে গ্রাহকগণ ব্যাংক ও বিমায় তাদের নিজস্ব হিসাব অতি দ্রুত নির্ভুলভাবে পরীক্ষা করে দেখতে পারছে যা বিশ্বে যথারীতি চমক সৃষ্টি করেছেন। বর্তমান যুগে কম্পিউটারের সাহায্যে ঘরে বসেই গ্রাহকগণ তাদের যাবতীয় তথ্য লেনদেনের  তথ্য সংরক্ষিত টাকার পরিমান ও তহবিল স্থানন্তর কাজ সহ বিভিন্ন প্রকার কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারছে।

তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে

বিশ্ব আজ এমনই এক পর্যায়ে অবস্থান করছে যে এক দেশ থেকে অন্য দেশে খুব সহজ উপায়ে ও দ্রুতগতিতে তথ্য আদান প্রদান করা যাচ্ছে ।এমনকি মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার ছবি উপাত্ত ও বিভিন্ন প্রকার তথ্য অতি দ্রুত এবং সহজে প্রেরণ করা যাচ্ছে ।এদিক থেকে চিন্তা করলে দেখা যায় কম্পিউটারের ব্যবহার কতই না গুরুত্বপূর্ণ হয়ে 

যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে

বিমান, নভোযান ও নদীপথে জাহাজের গতি নিয়ন্ত্রণ, দিকনির্দেশনা ও অবস্থান নির্ণয় করার কাজটি অতি সহজেই কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে   টেলিযোগাযোগের সাহায্যে করা হচ্ছে ।বর্তমান কালে আমেরিকার নাসা কোম্পানি কম্পিউটারের মাধ্যমে নভোযানের গতিপথ ,অবস্থান ও বিভিন্ন প্রকার ছবি সংগ্রহ করতে পারছে। আধুনিক গতিশীল জীবনধারাকে অব্যাহত রাখার তাগিদে যানবাহনকে করা হয়েছে দ্রুত গতি সম্পন্ন বৃদ্ধি করা হয়েছে যানবাহনের সংখ্যা।

গবেষণার ক্ষেত্রে

সামাজিক, রাজনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণার জন্য  নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয় ।আর এমন বিশ্লেষণে সহজ সমাধান দিতে পারে কম্পিউটার ।তাই গবেষণার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার অত্যন্ত ব্যাপক ।একজন সমাজবিজ্ঞানী সমাজের উন্নয়নের গবেষণা করে । বর্তমানে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ।তাছাড়া বর্তমান যুগে কম্পিউটার ছাড়া বৈজ্ঞানিক গবেষণার কথা চিন্তাই করা যায় না ।পদার্থ,  গণিত ,পরিসংখ্যান এমনকি প্রাণিবিদ্যার গবেষণা সহ মঙ্গল গ্রহে নভোযান পাঠানোর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সম্ভাবনা সবই কম্পিউটারের উপর নির্ভরশীল।

চিকিৎসার ক্ষেত্রে

বর্তমানে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ।রোগীর রোগ নির্ণয়, রক্তচাপ নির্ণয় ইত্যাদি নানা ধরনের কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ।এছাড়াও ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রেও কম্পিউটারের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

বিনোদনের ক্ষেত্রে

আধুনিক যুগে কম্পিউটারে নানাবিধ কাজ ছাড়াও কম্পিউটার একটি বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয় ।কম্পিউটার দিয়ে সিনেমা দেখা ,গান , গেমস খেলা ,ছবি আঁকান, টিভি দেখা ইত্যাদি নানা ধরনের বিনোদন আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারি।

ইন্টারনেট ব্যবহার

কম্পিউটারের ইন্টারনেট ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে দেশ-বিদেশে নানান তথ্য ।যেমন গান , ছবি, লেখা, বই পড়া নানান জিনিস দেখা যায় পড়া যায় এবং প্রয়োজনমতো ডাউনলোড ও করা যায় ।এমনকি ফেসবুক টুইটার এগুলোর মাধ্যমে মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখা যায়।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪