OrdinaryITPostAd

প্রোগ্রামের ভাষা কত প্রকার ও কি


 একে বা একাধিক নির্দেশের সমষ্টি হচ্ছে প্রোগ্রাম। উক্ত নির্দেশ গুলো ০ এবং ১ এ রূপান্তরিত করে কম্পিউটারের বোধগম্য করার জন্য যে সংখ্যা ,অক্ষর চিহ্ন ইত্যাদি ব্যবহার করার জন্য যে সংখ্যা, অক্ষর চিহ্ন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় তাকে প্রোগ্রামের ভাষা বলা হয় । কম্পিউটার প্রোগ্রামের রচনার বেশ কিছু ভাষা রয়েছে।
আপনি যদি প্রোগ্রামের ভাষা কত প্রকার ও কি কি জানতে চান তাহলে আজকে এই পোস্টটি আপনার জন্য। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি বিস্তারিত জেনে যাবেন । 

পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রোগ্রামের ভাষা কত প্রকার ও কি কি জেনে নিন।

ভূমিকা

প্রোগ্রামের ভাষার শ্রেণীবিভাগ

  •  নিম্ন স্তরের ভাষা
  •  মধ্য স্তরের ভাষা
  • উচ্চ স্তরের ভাষা


ভূমিকা

প্রোগ্রামের ভাষা কত প্রকার ও কি কি এই সম্পর্কে আজকের এই পোস্ট টি জুড়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি পড়লে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন আশা করি তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক প্রোগ্রামের ভাষা কত প্রকার ও কি কি।

প্রোগ্রামের ভাষার শ্রেণীবিভাগ

প্রোগ্রামের ভাষা সমূহ নিচে আলোচনা করা হলোঃ

(১) নিম্ন স্তরের ভাষা

(২) মধ্য স্তরের ভাষা

(৩) উচ্চ স্তরের ভাষা

(১) নিম্ন স্তরের ভাষাঃ যে স্তরের ভাষায় লেখা প্রোগ্রাম কোন নির্দিষ্ট মেশিনের জন্য লেখা হয় তা অন্য মেশিনে চলে না তাকে নিম্ন স্তরের ভাষা বলে এ ভাষায় বাইনারি সংখ্যা এবং সংকেত ব্যবহার করা হয়।

নিম্নস্তরের ভাষা হল কম্পিউটার প্রোগ্রাম লেখার মূল ভাষা। এই ভাষাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

(ক) মেশিন ভাষা

(খ) অ্যাসেম্বলি ভাষা 

(ক) মেশিন ভাষাঃ কম্পিউটার ০ এবং১ ছাড়া কিছুই বুঝতে পারে না। কম্পিউটার ভাষা হচ্ছে ০ এবং১/০ এবং১ দিয়ে তৈরি ভাষাকে যন্ত্রের ভাষা বলা হয়। কম্পিউটার কেবলমাত্র মেশিনের ভাষা বুঝতে পারে। তাই অন্য ভাষায় প্রোগ্রাম করলে অনুবাদক প্রোগ্রামের সাহায্যে তাকে মেশিন ভাষায় রূপান্তরিত করে নিতে হয় এবং কাজ করতে হয়।

(খ) অ্যাসেম্বলি ভাষা ঃ মেশিন ভাষার কিছুটা সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় নিমনিক কোড লিখিত ভাষাকে বলা হয় অ্যাসেম্বলি ভাষা ।অ্যাসেম্বলি ভাষা লিখিত প্রোগ্রাম হল এক ধরনের উৎস প্রোগ্রাম।

(২)মধ্যস্তরের ভাষাঃ যে স্তরের ভাষায় কম্পিউটারের বিট পর্যায়ের প্রোগ্রামের মাধ্যমে হার্ডওয়ার নিয়ন্ত্রণ ও সিস্টেম প্রোগ্রাম রচনা করা যায় তাকে মধ্যস্তরের ভাষা বলে ।এ ভাষায়  উচ্চ স্তরের ভাষার সুবিধা যার আবার নিম্ন স্তরের ভাষার সমকক্ষ প্রোগ্রাম রচনা করা যায়।

(৩) উচ্চ স্তরের ভাষাঃ প্রোগ্রাম রচনার ক্ষেত্রে সহজে বোধগম্য সার্বজনীন ভাষাকে  উচ্চ স্তরের  ভাষা অনেকটা ইংরেজি ভাষার মত। এ ভাষার একটি বড় প্রোগ্রামকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করে সম্পূর্ণ করা হয় বলে উচ্চ স্তরের ভাষাকে প্রক্রিয়াগত ভাষা নামে অভিহিত করা হয়। নিম্নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগতভাবে  উচ্চ স্তরের ভাষা কে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

(ক) বাণিজ্যিক প্রয়োগ ভাষা

(খ) বৈজ্ঞানিক প্রয়োগের ভাষা

(গ )বহু প্রয়োগের ভাষা

(ঘ)চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা

(ক) বাণিজ্যিক প্রয়োগ ভাষাঃ কেবল একটি বহুল ব্যবহৃত বাণিজ্যিক প্রয়োগের ভাষা। এই ভাষার নির্দেশ ইংরেজি ভাষার মত। বিভিন্নভাবে রিপোর্ট ও সারণি প্রদর্শনের সুবিধা সহ ফাইল , রেকর্ড , ফিল্ড ইত্যাদি প্রক্রিয়াকরণের বহুবিধ সুবিধা এই ভাষায় বর্তমান।

(খ) বৈজ্ঞানিক প্রয়োগের ভাষাঃ ফর্টন ,এলগোল বহুল প্রচলিত বৈজ্ঞানিক প্রয়োগের ভাষা। এই ভাষা সমূহের গুরুত্বপূর্ণ বা প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো হচ্ছে শক্তিশালী গাণিতিক কাজের ক্ষমতা ,ম্যাট্রিক্স ব্যবহারের ক্ষমতা এবং ফর্মুলা ব্যবহারের সুবিধা।

(গ )বহু প্রয়োগের ভাষা বেসিক , প্যাস্কেল ইত্যাদি উচ্চ স্তরের ভাষা। যেমন-স্বাভাবিক ভাষা, অতি উচ্চতর ভাষা, প্রয়োগ ভিত্তিক ভাষা ইত্যাদি। এসব ভাষাকে অতি উচ্চ স্তরের ভাষা বলা হয়।

(ঘ )চতুর্থ প্রজন্মের ভাষাঃ কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য উদ্ভাবিত বিশেষ কয়েকটি ভাষাকে চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা বলে। যেমন-স্বাভাবিক ভাষা, অতি উচ্চতর ভাষা , প্রয়োগভিত্তিক ভাষা , ইত্যাদি। এসব ভাষাকে অতি উচ্চ স্তরের ভাষা বলা হয়।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪