OrdinaryITPostAd

কম্পিউটার প্রজন্ম কি-বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট কি কি কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়

 কম্পিউটার  প্রজন্ম কি এবং বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য আজকের এই পোস্টটিতে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি জানতে চান তাহলে পুরো পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নেবেন।

তাহলে আপনি কম্পিউটারের  প্রজন্ম কি এবং বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটারে বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন।

 পেইজ  সূচিপত্র 

কম্পিউটার প্রজন্ম কি

প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারে বৈশিষ্ট্য

দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

পঞ্চম ও ভবিষ্যৎ  প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য 

শেষ কথা

কম্পিউটার প্রজন্ম কি

কম্পিউটারের ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায় যে কম্পিউটার কিভাবে তার  বিবর্তন ঘটিয়েছে। সুতরাং আলোচনা প্রেক্ষিতেই কম্পিউটারের বিবর্তনের ইতিহাসকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-প্রথম প্রজন্ম, দ্বিতীয় প্রজন্ম, তৃতীয় প্রজন্ম, চতুর্থ ্ প্রজন্ম, ও পঞ্চম প্রজন্ম। প্রতিটি ভাগকে কম্পিউটারের জেনারেশন বা প্রজন্ম নামে অভিহিত করা হয় যদিও প্রজন্ম বিন্যাস নিয়ে মতভেদ রয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ কি কি কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

পরোক্ষভাবে প্রজন্ম হিসাবে ভাগ করার কথা চালু করেছে আই বি এম। এ কোম্পানির একটি বিজ্ঞাপন থেকে এ প্রথা চালু হয়। এ প্রজন্মগুলো পর্দা-লোচনা করলে আমরা খুব সহজেই পূর্বকাল থেকে আজ পর্যন্ত কম্পিউটার কতটা উন্নতি  সাধন করেছে তা খুব সহজেই অনুমান করতে পারি।

প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

১। আকৃতির দিক থেকে ইহা অনেক বড়।

২। কম নির্ভরশীলতা ও স্বল্প গতি সম্পন্ন।

৩। ইনপুট -আউটপুট ব্যবস্থার জন্য পাঞ্চ কার্ড এর ব্যবহার।

৪। মেশিন ভাষার মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান।

৫। ভ্যাকুয়াম টিউব ও বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক বর্তনীর ব্যবহার।

৬। তথ্য ধারণের জন্য ইলেকক্ট্রোটেস্টিক টিউব (CRT) এর ব্যবহার এবং সীমিত তথ্য ধারণ ক্ষমতা।

৭। চৌম্বকীয় ড্রাম মেমোরির ব্যবহার।

৮। রক্ষণাবেক্ষণ ও  উত্তাপ সমস্যা।

৯। অত্যধিক বিদ্যুৎ শক্তির খরচ।

১০। একসঙ্গে একজন ব্যবহারকারীর ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা।

দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট

১। ট্রানজিস্টার এর ব্যবহার ও ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট এর ব্যবহার।

২। আকৃতির সংকোচন ও অধিক নির্ভরশীল।

৩। উচ্চ গতি সম্পন্ন ও উন্নত মানের ইনপুট আউটপুট ব্যবস্থার প্রচলন।

৪। টেলিফোন লাইন ব্যবহার করে ডাটা প্রেরনের ব্যবস্থা।

৫। বিদ্যুৎ খরচ কম। 

৬।  তাপ সমস্যার অবসান।

৭। বাস্তবিক ও প্রয়োগিক ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার সূচনা।

৮। কার্যসম্পাদন গতির উন্নয়ন।

তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য

১।ইন্টিগ্রেড সার্কিট (IC)র ব্যাপক প্রচলন।

২।অর্ধপরিবাহী স্মৃতির উদ্ভব ওবিকাশ

৩। মিনি কম্পিউটারের প্রচলন।

৪। আকৃতি ছোট, কম দাম এবং ক্ষমতার বৃদ্ধি।

৫। উচ্চতর ভাষার ব্যাপক ব্যবহার।

৬। ভিডিও মনিটর লাইন প্রিন্টার প্রচলন এবং নির্বাহী পদ্ধতির উন্নয়ন ।

৭।  প্রসেসিং স্পিড এর ব্যাপক বৃদ্ধি।

চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট

১। ডাটা ধারণ ক্ষমতা ব্যাপক উন্নয়ন।

২। বৃহদাকার একীভূত বর্তনী এর ব্যবহার।

৩। অতি দ্রুত গতি সম্পন্ন ও ক্ষুদ্রাকৃতির। 

৪।দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম

৫। প্যাকেজ প্রোগ্রাম এর ব্যবহার।

৬। উন্নত মেমোরির তথা ম্যাগনেটিক বাবুল মেমোরির ব্যবহার।

৭। সুপার কম্পিউটারের উন্নয়ন।

৮। অত্যন্ত শক্তিশালী ও উচ্চ গতি সম্পন্ন মাইক্রো প্রসেসর এর ব্যবহার।

পঞ্চম ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট

১। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার।

২। শ্রবণযোগ্য শব্দ দিয়ে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ।

৩। তথ্য ধারণ ক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি।

৪। ব্যাপক শক্তি সম্পন্ন সুপার কম্পিউটারের উন্নয়ন।

৫। চৌম্বক বাবল মেমোরির ব্যবহার।

৬। বহু মাইক্রোপ্রসেসর এবং ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ বিশিষ্ট একটিভূত বর্তনীর ব্যবহার।

৭। বর্তনী গুলোতে অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার।

৮। প্রোগ্রাম সামগ্রির উন্নতি।

শেষ কথা

এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার ফলে আপনি কম্পিউটারের প্রজন্ম কি এবং বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটারে বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি আপনার সামান্যতম উপকার এসে থাকে, তাহলে অবশ্যই পোস্টটিতে কমেন্ট করুন এবং লাইক  দিন, খোদা হাফেজ।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪