OrdinaryITPostAd

কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য |কম্পিউটারের সীমাবদ্ধতা |কম্পিউটার দিয়ে কাজ করার সুবিধা

প্রিয় পাঠক , আজকের এই পোস্ট টিতে কম্পিউটারে বৈশিষ্ট্য ,কম্পিউটারের সীমাবদ্ধতা ,কম্পিউটার দিয়ে কাজ করার সুবিধা এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনি কম্পিউটারে বৈশিষ্ট্য , কম্পিউটারের সীমাবদ্ধতা  ,কম্পিউটার দিয়ে কাজ করার সুবিধা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন।


কম্পিউটারের দ্রুতগতি, বিশ্বাসযোগ্যতা, সূক্ষ্মতা  ,ক্লান্তিহীনতা , মেমোরি  ,যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত ,বহুমুখীতা , স্বয়ংক্রিয়তা ইত্যাদি হলো কম্পিউটারের প্রধান বৈশিষ্ট্য । এ সকল বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে কম্পিউটার বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ যন্ত্রে  রূপান্তরিত হয়েছে ।

পোস্ট সূচিপত্র-কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য ।কম্পিউটারের সীমাবদ্ধতা ।কম্পিউটার দিয়ে কাজ করার সুবিধা।

  • দ্রুতগতি
  •  বিশ্বাসযোগ্যতা 
  • স্মৃতি বা মেমোরি
  • সূক্ষ্মতা
  • ক্লান্তি হীনতা
  • যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত
  • বহুমুখীতা 
  • স্বয়ংক্রিয়তা
  • কম্পিউটারের সীমাবদ্ধতা 
  • কম্পিউটার দিয়ে কাজ করার সুবিধা

দ্রুতগতি

কম্পিউটার অত্যন্ত দ্রুত গতিতে কাজ করে। এই দ্রুতগতির কারণ এটা কাজ করে বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে, যার গতি প্রায় আলোর বেগের সমান। কম্পিউটার দ্বারা অতি অল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করা সম্ভব। কম্পিউটারে দ্রুতগতিসম্পন্ন গণনার কাজকে মিলিসেকেন্ড , মাইক্রোসেকেন্ড  ,ন্যানোসেকেন্ড , পিকোসেকেন্ড ইত্যাদি সময়ের একক হিসাবে ভাগ করা হয়। এক মিনিটে কম্পিউটার যে কাজ করতে পারে মানুষের তা সম্পূর্ণ করতে সারা জীবন লেগে যায়। আপনি জানলে অবাক হবেন যে কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে দুই থেকে চার মিলিয়ন গাণিতিক কার্যাবলী সম্পন্ন করতে পারে। কম্পিউটারের কাজের গতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 বিশ্বাসযোগ্যতা

কম্পিউটার এত দ্রুতগতিতে কাজ করলেও তার কাজ ভুল হয় না ।উন্নত প্রযুক্তির কারণে কম্পিউটারে সব সময় নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম দিয়ে নির্দিষ্ট কাজ পুরোপুরি নির্ভুলভাবে করা সম্ভব ।তবে এক্ষেত্রে প্রোগ্রাম ও ডেটা অবশ্যই ১০০% বিশুদ্ধ হতে হবে ।আধুনিক কম্পিউটার প্রমাণ করেছে যে মানুষ ভুল করে ,কিন্তু কম্পিউটার ভুল করে না ।কম্পিউটারকে ভুল নির্দেশ দিলে তখনই শুধু ভুল ফলাফল দিবে ।এজন্য কম্পিউটারের ক্ষেত্রে বলা হয় গার্বেজ ইন গার্বেজ আউট অর্থাৎ আবর্জনা থেকে আবর্জনা ।

স্মৃতি বা মেমোরি

কম্পিউটারের স্মৃতি অতি বিশাল ,বিপুল পরিমাণ ডেটা ও নির্দেশ তাতে জমা রাখা যায় ।কম্পিউটারের সঞ্চয় ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অতি সহজে  একই ধরনের কাজ বিভিন্ন সময় দ্রুত গতিতে করা সম্ভব । মেমোরি থেকে কোন ডেটা খুঁজে বের করতে কম্পিউটারের সময় লাগে এক ন্যানোসেকেন্ড বা তারও কম সময় ।

সূক্ষ্মতা

কম্পিউটার প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল সূক্ষ্মভাবে দিতে পারে যা মানুষের পক্ষে প্রায় অসম্ভব । কম্পিউটারের কাজের মূলনীতি গণিতের সূত্র নির্ভর ।কম্পিউটারের গণনার সূক্ষ্মতা অত্যান্ত বেশি ।

ক্লান্তিহীনতা

দীর্ঘক্ষন একটানা কাজ করলেও কম্পিউটার ক্লান্ত হয় না বা গণনায় ভুল করে না ।কিন্তু মানুষের ক্লান্তি আছে ,অবসাদ আছে  একটানা দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে মানুষ ক্লান্তি বোধ করে।

যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত

কম্পিউটার যে শুধু বিভিন্ন গাণিতিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে পারে তা নয় সেইসাথে লজিক প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ করতে পারে এবং বিভিন্ন ব্যাপারে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে পারে ।যেমন -কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে কম্পিউটার অনেক জটিল বিষয় সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম হচ্ছে।

বহুমুখীতা 

কম্পিউটার এমন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যার সাহায্যে যেকোনো ধরনের কাজ সম্পন্ন করা যায়। সাধারণ হিসাব-নিকাশ থেকে শুরু করে শিক্ষা চিকিৎসা জটিল বৈজ্ঞানিক সমস্যার সমাধান পর্যন্ত সর্বত্রই এই কম্পিউটার ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া খেলাধুলা বিনোদনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার  ব্যবহার হচ্ছে।

স্বয়ংক্রিয়তা

কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে থাকে। কম্পিউটার পরস্পর নির্ভরশীল পর্যায়গুলোর কাজ ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন করে থাকে অর্থাৎ প্রদত্ত নির্দেশ মতো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার  ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করে সমস্যার সমাধান দিতে পারে।

কম্পিউটারের সীমাবদ্ধতা

কম্পিউটারের অনেক গুণাবলীর মধ্যেও কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কম্পিউটারের প্রধান প্রধান কিছু সীমাবদ্ধতা নিচে দেওয়া হল-

১। কম্পিউটারের নিজস্ব কোন চিন্তা শক্তি নেই। এজন্য কম্পিউটার নিজের থেকে কোন সমস্যা সমাধান করতে পারেনা।

২। কম্পিউটার তার মেমোরিতে সংরক্ষিত প্রোগ্রাম দ্বারা পরিচালিত হয় কিন্তু মানুষ তার নিজস্ব চিন্তাশক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়।

৩। কম্পিউটার মানুষের নির্দেশ দ্বারা চালিত হয়। কম্পিউটার নিজের থেকে চলতে পারেনা।

৪। কম্পিউটার কাজের সময় নিজের থেকে দিক পরিবর্তন করতে পারেনা। যতক্ষণ পর্যন্ত না তাকে দিক পরিবর্তনের নির্দেশ দেয়া হয়।

৫।  কম্পিউটারে কাজের গতির সীমাবদ্ধতা রয়েছে ।কম্পিউটারের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য গবেষণা চলছে।

কম্পিউটার দিয়ে কাজ করার সুবিধা

১। ডেটা প্রসেসিং এর মাধ্যমে ডেটা সংরক্ষণ রক্ষণাবেক্ষণ ও সরবরাহের কাজ সহজ হয়।

২।  ডেটা প্রসেসিং এর মাধ্যমে এটা বিশেষণের কাজ সহজ হয়।

৩। বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের ও ডেটা ডেভেলপমেন্টের কাজ সহজ হয়।

৪। ডেটা প্রসেসিং এ সময় কম লাগে।

৫। কম্পিউটার দিয়ে  ডেটা প্রসেসিং এর ফলাফলের সূক্ষ্মতা অনেক বেশি।

লেখকের মন্তব্য

এই পোস্টটি কেমন হয়েছে এবং কোথাও কোন ভুল ত্রুটি হয়েছে কিনা অথবা কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন ,খোদা হাফেজ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪