কিভাবে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন পত্র লিখতে হয় জানুন
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি না জেনে থাকেন যে ,কিভাবে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন পত্র লিখতে হয় ।তাহলে আজকের এই পোস্টটি শুধু আপনার জন্য. এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি কিভাবে চাকরির আবেদন পত্র লিখতে হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন ।
আপনি নিজেই সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন পত্র লিখতে পারবেন। কারো সাহায্য ছাড়াই. তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে চাকরির আবেদন পত্র লিখতে হয়।
পোস্ট সূচিপত্র-কিভাবে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন পত্র লিখতে হয় জানুন।
- তারিখ, মাস, সাল
- মহাপরিচালক
- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর
- বিষয়
- তারিখ , মাস , সাল ,পত্রিকার নাম
- জীবনবৃত্তান্ত
- আবেদনপত্রের বৈশিষ্ট্য
- শেষ কথা
তারিখ মাস সাল
তারিখ -মাস -সাল আবেদন পত্রের ডান দিকের উপরে লিখতে হবে। আপনি যে তারিখে ও
মাসে এবং সালে আবেদন পত্রটি লিখবেন সেই দিনের তারিখ - মাস -সাল আবেদনপত্রে শুরুতে
উল্লেখ করতে হবে।
মহাপরিচালক
তারিখ-মাস-সাল লেখার পরে আপনাকে বরাবর লিখে মহাপরিচালক কথাটি লিখতে হবে।
মানে আপনি যাকে উদ্দেশ্য করে আবেদন পত্রটি লিখছেন তিনি কে মহাপরিচালক
এটা আপনাকে আবেদনপত্রের মধ্যে উল্লেখ করতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর অধিদপ্তর
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর কথাটি লিখতে হবে আবেদন পত্রের মধ্যে। কারণ আপনি
সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন পত্র লিখছেন।
বিষয়
এই পোস্টটিতে কিভাবে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন পত্র লিখতে হয় এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেজন্য এখানে বিষয়ের জায়গায় লিখতে হবে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন।
তারিখ -মাস -সাল, পত্রিকার নাম
আপনি যেই তারিখে আবেদন পত্রটি লিখবেন সেই তারিখ দিতে হবে সেইসাথে মাস , সাল ও দিতে হবে। আর আপনি কোন পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন সেই পত্রিকার নাম এখানে লিখতে হবে।
জীবন বৃত্তান্ত
আবেদনপত্রের এই অংশে আপনার জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরবেন।
১। নাম-আপনার নাম
২। পিতার নাম-আপনার পিতার নাম
৩। মাতার নাম-আপনার মাতার নাম
৪। স্থায়ী ঠিকানা-আপনার স্থায়ী ঠিকানা
৫।বর্তমান ঠিকানা-আপনার বর্তমান ঠিকানা
৬। জন্মতারিখ-আপনার জন্ম তারিখ
৭। জাতীয়তা-আপনি কোন দেশের নাগরিক।
৮। ধর্ম-আপনার ধর্মের নাম লিখতে হবে এখানে।
৯।বৈবাহিক অবস্থা-আপনি বিবাহিত না অবিবাহিত সেটা এখানে লিখতে হবে।
১০।শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ শিক্ষাগত যোগ্যতারএখানে আপনার পরীক্ষার নাম ,আপনার বোর্ডের বা ইউনিভার্সিটির নাম , রেজাল্ট বা গ্রেড , পরীক্ষায় পাশের বছর উল্লেখ করতে হবে।
আপনি চাকরিটি পাবেন কি পাবেন না সেটা অনেক অংশে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর নির্ভর করে ।তাই শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখার সময় কোন রকম ভুল করা যাবে না বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখবেন।১১। অভিজ্ঞতাঃ যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি আপনার অভিজ্ঞতার কথা এখানে উল্লেখ করবেন। আর যদি আপনার অভিজ্ঞতা না থেকে থাকে তাহলে এখানে অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করার কোন প্রয়োজন নেই।
অতএব উপরোক্ত তথ্যাবলির প্রেক্ষিতে অনুভবপূর্বক আমাকে উক্ত পদে নিয়োগের জন্য
বিবেচনা করলে বাধ্যিত হব। এখানে এই কথাগুলো লিখে দিবেন অপ্রয়োজনীয়
কোন কথা না লেখায় উচিত।
বিনীত নিবেদক
(এখানে আপনার নাম লিখতে হব)
সংযুক্তিঃ সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত সনদপত্র ,চারিত্রিক সনদপত্র ,অভিজ্ঞতার সনদপত্র, নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র ও ২ দুই কপি সত্যায়িত ছবি।
খাম
এখানে খাম আকারে কিছু লিখতে হবে।
পদের নাম -সহকারী শিক্ষক।
বিষয় -বাংলা । এখানে বিষয়ের কথা উল্লেখ করতে হবে।
প্রেরক -এখানে প্রেরক এর ঠিকানা লিখতে হবে।
প্রাপক-এখানে প্রাপকের ঠিকানা লিখতে হবে।
আবেদনপত্রের বৈশিষ্ট্য
আবেদনপত্র ভাষা সহজ সরল হতে হবে. অবশ্যই অবশ্যই আবেদন পত্রটি সম্পন্ন হতে হবে. আবেদনপত্রে কোনো শব্দের বানান ভুল করা যাবে না, সঠিক সুন্দর আবেদনপত্র প্রার্থীর যোগ্যতা ও দক্ষতা ,শিক্ষার পরিচয় বহন করে। কারণ আপনি যদি সঠিক নিয়মে আবেদন করতে পারেন তাহলে আপনার আবেদনটি গ্রহণযোগ্যতা পাবার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আপনি যে আবেদন পত্রটি লিখবেন সে আবেদনপত্রে যেন যে তথ্যগুলো প্রয়োজন সেই সকল তথ্য থাকে।
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক, আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন।তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।এই ধরনের পোস্ট নিয়মিত পড়তে চাইলে আমার ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url