OrdinaryITPostAd

রমজানের রোজায় কি খাবেন আর কি খাবেন না এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক , প্রথমে আপনাকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ।আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন ,তাহলে এই রমজান মাসে অবশ্যই রোজা থাকবেন। আর রোজা থাকলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে রমজান মাসে রোজায় কি খাবেন আর কি খাবেন না। তাছাড়া কি খেলে আপনার স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে । আর কি খেলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন।


এগুলো জানা আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।আজকের এই পোস্ট জুড়ে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।আপনি যদি না জেনে থাকেন ,তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক উপকার আসবে।

পোস্ট সূচিপত্র -রমজানের রোজায় কি খাবেন আর কি খাবেন না এ বিষয়ে বিস্তারিত জানেন।

  • ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার
  • ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য
  • যে খাবারগুলো খাবেন না
  • সেহরির সময় কি খাবেন
  •  যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত থাকে
  • শারীরিক-মানসিক আত্মিক উপকারিতা
  • রমজান মাসে শরীরে এনার্জি ধরে  রাখতে যা খাবেন
  • শেষ কথা

 ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার

ইফতারে প্রথমে এক গ্লাস পানি দিয়ে শুরু করবেন ,শরবত হিসাবে তুলসি বীজ , তোকমা সকালে ভিজিয়ে ইফতারের সময় পান করবেন। তারপর আপনি ডালিমের জুস ,আনারসের জুস বেলের শরবত যেকোনো একটি আপনি পান করবেন। তারপর আপনার সাধ্যমত পাঁচ ধরনের ফল খাবেন ফলগুলো হল পেয়ারা আপেল পেঁপে খেজুর আনারস ইত্যাদি।

 এগুলো খেলে আপনার শরীর সাথে সাথে শক্তি পাবে আপনার দেহের পানি শূন্যতা দূর হবে। সেই সাথে আপনি সিদ্ধ ছোলা গাজর ,শসা পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে একসঙ্গে মাখিয়ে সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। এ রমজানে আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য ইফতারের স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে এগুলো যথেষ্ট।

ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য

আপনি যদি উচ্চ ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে এক গ্লাস পানিতে দুই টেবিল চামচ ছাতু মিশিয়ে খেতে পারেন। ছাতু হল কম জিআই সম্পন্ন খাবার।  এটি শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে হজম হবে,  আপনার ক্ষুধা লাগবেনা। আপনার লিভারের উপর চাপ ফেলবে না। আপনি একটি কথা মনে রাখবেন আপনার স্বাস্থ্যই আপনার সম্পদ।

যে খাবারগুলো খাবেন না

যে খাবারগুলো খাবেন না ,সেগুলো হল যে কোন ধরনের ভাজাপোড়া ,হালিম জিলাপি ,দুধ , গমের তৈরি খাবার ,চিনির শরবত ও ফাস্টফুড ইত্যাদি।

সেহেরির সময় কি খাবেন

সেহরির খাবারে রাখুন ৫০ শতাংশ সবজি, ৩০ শতাংশ ভাত ,১০ শতাংশ মাছ অথবা মাংস না থাকলে ডিম ,১০ শতাংশ মুগের ডাল। আপনার যদি পেটের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি পান্তা ভাত খেতে পারেন। 

যারা আইবিএস এর মত সমস্যায় ভুগছেন তারাও পান্তা ভাত খেয়ে দেখতে পারেন ।এটি চমৎকার এক সুষম খাবার সারাদিন রোজা রেখে শরীরের যে সব উপাদানের ঘাটতি হয় এই খাবারগুলো কোন ধরনের ক্ষতি ছাড়াই তা পূরণ করবে ।এই খাবার ডায়াবেটিস আলসার উচ্চ রক্তচাপ  রোগীদের জন্য অনেক উপকারে আসবে।

যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত থাকেন

যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত থাকেন তারা আরও বেশি চিন্তায় থাকেন কি খাবেন ?কি খাবেন না ?তা নিয়ে। আর তারপর থাকে ওষুধ খাওয়ার চিন্তা অথচ রোজা থাকলে মানুষ এমনিতেই সুস্থ থাকে ।এর মূলে আছে শরীরের অভ্যন্তরীন ডিটক্স প্রক্রিয়া যাকে অটোফিজি বলা হয়। 

আমরা ইফতারের সময় এমন কিছু খাবার খাই যা অন্য সময় খাই না। যেমন -ভাজাপোড়া ,হালিম, জিলাপি, চিনির শরবত ফাস্টফুড ইত্যাদি ইত্যাদি খাবার গুলো খাই যেগুলো আমাদের উপকারের বদলে ক্ষতি করে। এ খাবারগুলো আমাদের একেবারে খাওয়া উচিত নয় বিশেষ করে রমজান মাসে। 

যে খাবার গুলো আমাদের রমজান মাসে খাওয়া উচিত সেগুলো হল ইফতারে প্রথমে এক গ্লাস পানি দিয়ে শুরু করা তারপর শরবত হিসেবে তুলসী বীজ অথবা তোকমা সকালে ভিজিয়ে ইফতারের সময় পান করা ।তারপর আপনার সাধ্যমত ডালিমের জুস বেলের জুস যে কোন একটি আপনি পান করতে পারেন ।

সে সাথে আপনার সাধ্যমত পাঁচ ধরনের ফল খাবেন । ফলগুলো হল আপেল কলা পেঁপে খেজুর  ইত্যাদি এগুলো খেলে আপনার দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আপনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলেও সুস্থ থাকবেন।

শারীরিক -মানসিক ,আত্মিক উপকারিতা

শারীরিক অবস্থা মানসিক অবস্থা ও আত্মিক অবস্থা একে অপরের পরিপূরক। আপনার যদি শারীরিক অবস্থা ঠিক না থাকে তাহলে মানসিক অবস্থা ঠিক থাকবে না আর মানসিক অবস্থা ঠিক না থাকলে আত্মিক অবস্থা ঠিক থাকবে না। 

সঠিক নিয়মে রোজা রাখলে মানুষের শরীর মুক্ত রোগ থেকে মুক্তি লাভ করে, ঠিক একই ভাবে সঠিক নিয়মে রোজা না রাখলে মানুষের শরীর রোগমুক্ত হয় না বরং দুর্বল হয়ে যায় ।ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। কিন্তু আপনি রোজা রাখার ফলে আপনার ডায়াবেটিস বেড়ে যায় ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় এসিডিটির সমস্যা বেড়ে যায় ।

কিন্তু কেন ?এর কারণ হলো ভুল খাদ্য গ্রহণের ফলে। এই ভুল খাদ্যগুলো আমাদের পরিহার করতে হবে সেই সাথে সঠিক খাদ্যগুলো আমাদের গ্রহণ করতে হবে। কারণ ভুল খাবারগুলো আমাদের শরীরে ডিাইডিশন তৈরি করে। আর সঠিক খাবারগুলো  আমাদের শারীরিক ,মানসিক, আত্মিক অবস্থা ভালো রাখে।

রমজান মাসে শরীরে এনার্জি ধরে রাখতে যা খাবেন

আপনি যেন আপনার শরীরের এনার্জি ধরে রাখতে পারেন সারা দিনে যেন আপনার শরীরে কোনরকম এনার্জির ঘাটতি দেখা না দেয় সে বিষয়ে এখন কথা বলব। আপনি ইফতারের সময় খেজুর খান এটা খুব ভালো আমাদের প্রিয় নবীর প্রিয় খাবার খেজুর খেজুরের আটি বের করে খেজুরের সাথে কাঠবাদাম খেতে পারেন ,এটা আপনার শরীলে এনার্জি ধরে রাখতে সাহায্য করবে। সেই সাথে আপনার সাধ্যমত যেকোনো ধরনের ফল যেকোনো ধরনের ফল বলতে যেমন -পেয়ারা পেঁপে আনারস কমলা আপেল এগুলো খেতে পারেন ।এ ফলগুলো আপনার শরীলে এনার্জি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক ,রমজান এর রোজায় কি খাবেন আর কি খাবেন না এ বিষয়ে যে আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে এ আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার সামান্যতম উপকার হয় অথবা আপনার ভালো লেগে থাকে।তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না। এইরকম আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চাইলে লাইক ,কমেন্ট করে পাশে থাকবেন ,নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, খোদা হাফেজ।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪