OrdinaryITPostAd

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ধারণা ।প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির বৈশিষ্ট্য ।প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির অসুবিধাও সুবিধা।

 সম্মানিত পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলটিতে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ধারণা ,প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির বৈশিষ্ট্য  ,প্রাইভেট  লিমিটেড কোম্পানির অসুবিধা এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ।


আপনি যদি জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য নয় ।আর আপনি যদি জেনে না থাকেন তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য।

কনটেন্ট সূচিপত্র -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ধারণা ।প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির বৈশিষ্ট্য ।প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির অসুবিধা।

  • ভূমিকা
  •  প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ধারণা
  • প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির বৈশিষ্ট্য
  • প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সুবিধা
  • প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির অসুবিধা
  • শেষ কথা

ভূমিকা

সীমাবদ্ধ দা এর ভিত্তিতে ন্যূনতম দুইজন এবং সর্বোচ্চ ৫০ জন সদস্য নিয়ে যে কোম্পানি গঠিত হয় এবং তার সেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য নয় তাকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি ধারণা , প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির বৈশিষ্ট্য, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির অসুবিধা এই আর্টিকেলটিতে এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ধারণা

সীমাবদ্ধ দায়ের ভিত্তিতে ন্যূনতম ২জন এবং সর্বোচ্চ ৫০ জন সদস্য নিয়ে যে কোম্পানি গঠিত হয় এবং যার শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য নয় ,তাকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে ।এরকম কোম্পানির শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রি করার জন্য জনসাধারণের উদ্দেশ্যে কোন বিবরণ পত্র বিলি  করতে পারেনা। সদস্য সংখ্যা সীমিত হওয়ার কারণে এরকম কোম্পানি তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্রায়তন প্রকৃতিতে গড়ে ওঠে।

এম .সি .শুল্কা -এর মতে ,প্রাইভেট  কোম্পানি হচ্ছে এমন একটি কোম্পানি যা এর আর্টিকেল দ্বারা

শেয়ার হস্তান্তরে বাধা দেয়।

বর্তমান বা অতীত চাকরির সদস্য ছাড়া সদস্য সংখ্যা ৫০ এ সীমিত রাখে।

জনসাধারণকে শেয়ার ক্রয়ের আহবান হতে বিরত রাখে।

১৯৫৬ সালের ভারতীয় কোম্পানি আইনের তিন ধারায় বলা হয়েছে ,প্রাইভেট কোম্পানি বলতে বুঝায় ,যে কোম্পানি এর পরিমেল নিয়মাবলী দ্বারা-

শেয়ার হস্তান্তরের অধিকার সীমিত করে।

সদস্য সংখ্যা ৫০ সীমাবদ্ধ রাখে এবং জনসাধারণের শেয়ার বা ডিবেঞ্চার ক্রয়ের  আহ্বান নিষিদ্ধ করে।

১৯৫৪ সালের কম্পানি আইনের ২(১) (ট )ধারায় বলা হয়েছে যে ,"প্রাইভেট কোম্পানি "বলতে এমন কোম্পানিকে বোঝাবে যা তার পরিমেল নিয়মাবলী অনুযায়ী-

শেয়ার হস্তান্তর অধিকার সীমাবদ্ধ রাখে।

কোম্পানির শেয়ার বা ডিবেঞ্চার ক্রয়ের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান নিষিদ্ধ করে।

এর সদস্য সংখ্যা কোম্পানির চাকরিতে নিযুক্ত কর্মচারী ব্যতীত সদস্য সংখ্যা ৫০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির বৈশিষ্ট্য

আধুনিক বৃহদায়তন ব্যবসায় জগতে স্বাধীন সত্তা ও সীমিত দায় বিশিষ্ট ছোট ধরনের কোম্পানি সংগঠন হলো প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি ।আইনগত আনুষ্ঠানিকতার কড়াকড়ি থাকলেও আয়তনের দিক থেকে এটা মাঝারি প্রকৃতির ।প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির বেশ কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে ,যেগুলো নিচে অতি সংক্ষেপে আলোচনা করা হলঃ

১। গঠন-প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির গঠনে তুলনামূলক কম আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় ফলে উদ্যোক্তাগণ অতি সহজে এ সংগঠন গঠনে করতে পারে।

২। সদস্য সংখ্যা-প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা ন্যূনতম ২জন এবং সর্বাধিক ৫০ জনে সীমাবদ্ধ থাকে।

৩। মূলধন-সদস্য সংখ্যা সীমিত হবার কারণে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মূলধন সীমিত।

৪। শেয়ার হস্তান্তর-প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার গুলো অবাধে হস্তান্তর করা যায় না শুধুমাত্র ওই প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মালিকদের মধ্যেই শেয়ার হস্তান্তরযোগ্য।

৫। বিবরণ পত্র প্রচার-প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি শেয়ার বিক্রয়ের জন্য কখনোই বিবরণ পত্র তৈরি ও প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে আহবান জানাতে পারেনা

৬। দায়-প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের দায় শেয়ার মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ ।অর্থাৎ তাদের দায় যে পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করে তার মধ্যে সীমাবদ্ধ।

৭। ব্যবস্থাপনা-প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি তুলনামূলকভাবে ছোট হওয়ায় এবং আইনি ঝামেলা মুক্ত প্রভৃতি কারণে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে।


৮। ন্যূনতম চাঁদা -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির কোন নূন্যতম চাঁদা বা মূলধন সংগ্রহ করতে হয় না।

৯। প্রাইভেট লিমিটেড শব্দের ব্যবহার -কোম্পানি আইনের বিধান অনুসারে প্রাইভেট লিমিটেড শব্দ দুটি নামের শেষে ব্যবহার করতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে

১০। সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব-প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি আইনগতভাবে বিধিবদ্ধ সভা আহবান ,বিধিবদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি এবং নিবন্ধকের নিকট দাখিল বাধ্যতামূলক নয় ।আমরা বলতে পারি যে ,সীমিত সদস্য সংখ্যা সীমিত দায় প্রভৃতির ভিত্তিতে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি পরিচালিত হয়।  আইনের জটিলতা কিছুটা থাকা সত্ত্বেও এ কোম্পানির দক্ষতার সাথে তার কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সুবিধা

একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি সাধারণত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি অপেক্ষা নিচের সাধারণ ও বিশেষ সুবিধা গুলো ভোগ করে থাকে যা নিচে আলোচনা করা হলোঃ

সাধারণ সুবিধাসমূহ

১। সহজ গঠন -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠনকালীন অবস্থায় আইনগত আনুষ্ঠানিকতা কম ।মাত্র দুজন লোক নিবন্ধন পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেই ব্যবসায় শুরু করতে পারে ।এ কারণেই প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির গঠন প্রণালী অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়ে থাকে।

২। সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা -এ কোম্পানিতে ব্যবস্থাপনার সাথে শেয়ার মালিকরাই বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে জড়িত থাকে ।যার ফলে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা সঙ্গত কারণেই খুব ভালো হয়।

৩। ব্যক্তিগত যোগাযোগ -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকে ।আর তাছাড়া কোম্পানির সদস্যগণ নিজেরাই কোম্পানির পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে ।আর এ কারণেই তাদের নিজেদের মধ্যে এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও গ্রাহক অনুগ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয় ।এর ফলে তাদের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

৪। গোপনীয়তার রক্ষা -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সীমিত হাওয়াই এবং ব্যবসায় পরিচালনার দায়িত্বে নিজেরাই নিয়োজিত থাকেন বলে গোপনীয়তা বজায় থাকে।

৫। সহজে ঋণ গ্রহণ ও ঋণ দান -প্রাইভেট লিমিট কোম্পানি পরিচালনায় মালিকরা সরাসরি সম্পৃক্ত থাকে বলে ঋণদাতারা কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত থাকে ফলে কোম্পানি খুব সহজেই ঋণ দিতেও নিতে পারে।

৬। দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ -সদস্যগণ নিজেরাই কোম্পানির পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে বলে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির পক্ষে সহজে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভাব হয় ।এটা কোম্পানির উন্নতিতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে থাকে।

৭। নমনীয়তা -কোম্পানির সদস্যগণ নিজেরাই এই ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় জড়িত থাকেন বিধায় ব্যবসায়ের স্বার্থে পরিবর্তিত অবস্থা ও চাহিদার প্রেক্ষিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন ।এতে ব্যবসায়ের নমনীয়তা বজায় থাকে এবং গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।

৮। সম্প্রীতি -কোম্পানির শেয়ার হোল্ডারদের সংখ্যা কম হওয়ার কারণে পরস্পরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয় ।পাশাপাশি কর্মচারী ও ক্রেতাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব হয় ।ফলে প্রতিষ্ঠানের সম্প্রীতি পরিবেশ বজায় থাকে।

৯। ব্যবসায়ের আয়তন -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির আয়তন সাধারণত ছোট হয়ে থাকে ।এর ফলে কোম্পানি ব্যয় ও অংশীদারি ব্যবসার সুযোগ -সুবিধা ভোগ করে থাকে।

১০। সীমাবদ্ধ দায় -সদস্যদের দায় শেয়ার বা প্রতিশ্রুতি দ্বারা সীমিত হতে পারে ।এ কারণে কোন সদস্যকে নির্দিষ্ট দায়ের অতিরিক্ত দায় বহন করতে হয় না।

১১। পরিচালক সংখ্যা বৃদ্ধি -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে পরিচালকের সংখ্যা বাড়াতে হলে সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হয় না।

১২। সীমিত বিধি নিষেধ -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে অপেক্ষাকৃত কম আইনগত বিধি নিষেধ মেনে চলতে হয় ।

বিশেষ বা আইনগত সুবিধা সমূহ

১। সীমিত সদস্য সংখ্যা -সীমিত সদস্য সংখ্যা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির একটি অন্যতম বিশেষ সুবিধা। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি গঠনের ক্ষেত্রে যেখানে ন্যূনতম সাতজন সদস্যের প্রয়োজন হয় ,সেখানে মাত্র দুইজন সদস্য নিয়ে এ কোম্পানি গঠন করা যায়।

২। ব্যবসায় আরম্ভ-এ কোম্পানি নিবন্ধকের নিকট হতে নিবন্ধন পত্র প্রাপ্তির পর পর ব্যবসা শুরু করতে পারে। একে ব্যবসায়ী শুরু করার জন্য কার ও কাজ থেকে অনুমতি পত্র সংগ্রহ করতে হয় না।

৩। পরিচালক নিয়োগ -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির জন্য পরিচালক নিয়োগ বাধ্যতামূলক নয়। এ কোম্পানির স্বাধীনভাবে সদস্যদের মধ্য হতে পরিচালক নিয়োগ করতে পারে এবং মাত্র ২ জন পরিচালক  দ্বারা কোম্পানির কাজকর্ম পরিচালনা করা যায়।

৪। ন্যূনতম চাঁদা সংগ্রহ -ন্যূনতম চাঁদা সংগ্রহ না করেই এই কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করতে পারে।

৫। বিবরণ পত্র প্রচার -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে যেহেতু বাইরে শেয়ার বিক্রি করতে হয় না সেহেতু বিবরণ পত্র তৈরি করতে হয় না ।এমনকি বিকল্প বিবরণী ও  তৈরি করার প্রয়োজন হয় না।

৬। হিসাব নিরীক্ষণ -কোম্পানির হিসাব নিরীক্ষণের জন্য সরকার অনুমোদিত কোনো নিরীক্ষকের এর প্রয়োজন নেই। যেকোনো উপযুক্ত ব্যক্তি বা কর্মচারী দাঁড়ায় এর হিসাব নিরীক্ষণের কাজ করানো যায়।

৭। সদস্য তালিকা -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে এর সদস্যের তালিকা প্রণয়ন ও সংরক্ষণের প্রয়োজন হয় না।

৮। পরিচালকদের অবসর -পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে নিয়মিতভাবে এক তৃতীয়াংশ পরিচালকদের বাধ্যতামূলকভাবে অবসর গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে এ ধরনের কোন নিয়ম পালন করতে হয় না।

৯। আয় বুঝে ব্যয় করা -কম সদস্য সংখ্যা ও পরিচালনাগত আনুষ্ঠানিকতা কম থাকায় আয় বুঝে ব্যয় করে ব্যবসায় পরিচালনা করতে হয়। 

উল্লেখিত সুবিধা গুলো ছাড়া সদস্য সুচি প্রণয়ন ,রূপান্তর, বিধি নিষেধের, শিথিলতা  ,ইত্যাদি সুবিধাগুলো পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির চেয়ে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বেশি ভোগ করে থাকে।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির অসুবিধা

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি মাঝারি প্রকৃতির সংগঠন হওয়ায় এটা বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করে থাকে। তবে সুবিধার পাশাপাশি এটা বেশ কিছু অসুবিধায় জর্জরিত ,যেগুলো নিচে অতি সংক্ষেপে আলোচনা করা হলোঃ

১। সদস্য সংখ্যার সীমাবদ্ধতা -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সদস্য ৫০ জনের বেশি হতে পারে না ।ফলে প্রয়োজন দেখা দিলে ইচ্ছা থাকা শর্তেও বৃদ্ধি করা যায়।

২। পুঁজির সীমাবদ্ধতা -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সীমিত হওয়ায় পুঁজির সীমাবদ্ধতা থাকে।

৩। শেয়ার হস্তান্তরে বাধা -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার অবাধে হস্তান্তর করা যায় না ।ফলে এ কোম্পানির যারা শেয়ার ক্রয় করে তারা বড় সমস্যায় ভোগে।

৪। সম্প্রসারণে অসুবিধা -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সীমিত থাকায় মূলধনের সংকট দেখা যায় ।ফলে ইচ্ছা থাকা শর্তেও এটা সম্প্রসারিত হতে পারে না।

৫। আর্থিক ক্ষমতার কেন্দ্রীকরন -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির হিসাবে স্বচ্ছতা না থাকায় সরকারের আয়কর ফাঁকি দিতে পারে। ফলে তাদের হাতে অবাঞ্চিত অর্থের সমগম ঘটে এবং আর্থিক ক্ষমতা ধীরে ধীরে তাদের হাতে কেন্দ্রীয়ভুত হতে পারে।

৬। পরিমেল নিয়মাবলী তৈরির আবশ্যকতা -পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি  ইচ্ছা করলে পরিমেল নিয়মাবলির পরিবর্তে তফসিল -১ ব্যবহার করতে পারে ।কিন্তু প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে বাধ্যতামূলকভাবে পরিমেল নিয়মাবলী তৈরি করতে হয়।

৭। জনগণের আস্থার অভাব -প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি আইনি কারণে এসব নিরীক্ষণের প্রয়োজন হয় না ।ফলে হিসাবে কারচুপি ও জালিয়াতির সুযোগ থাকে এজন্য এ কোম্পানির উপর জনগণের আস্থা কম।

শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক ,এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার সামান্যতম কাজে আসে তাহলে অবশ্যই আপনি কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। খোদা হাফেজ। এরকম পোস্ট যদি আপনি আরো পড়তে চান তাহলে আমার ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪