OrdinaryITPostAd

অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে। অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ।

 প্রিয় পাঠক, আজকেরই আর্টিকেলের আলোচনার মূল বিষয় হলো অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে? অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ এগুলোই। তাছাড়া আরো আলোচনা করা হবে অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্ব।


আপনি যদি না জেনে থাকেন যে অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে ?অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ। অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্ব ।

তাহলে আজকের এই পোস্ট আপনার জন্য আশা করি অনেক উপকারে আসবে। আর আপনি যদি জেনে থাকেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য নয়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে। অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ।

  • অপারেটিং সিস্টেমের ধারণা।
  • অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে।
  • অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ।
  •  ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেমেরএর প্রধান বৈশিষ্ট্য।
  •  লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের অন্যতম সুবিধা।
  • অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্ব।
  • অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহার।
  • অপারেটিং সিস্টেমের কাজ।
  • শেষ কথা

অপারেটিং সিস্টেমের ধারণা

ইংরেজি Operate শব্দটির আভিধানিক অর্থ পরিচালনা করা। অপরদিকে Systemএর আভিধানিক অর্থ পদ্ধতি। অর্থাৎ অপারেটিং সিস্টেম বলতে কোন বস্তুকে পরিচালনার পদ্ধতিকে বুঝিয়ে থাকে। কম্পিউটারের ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম বা পরিচালনা পদ্ধতি হচ্ছে ব্যবহারকারীর নির্দেশ অনুযায়ী কম্পিউটারের অভ্যন্তরে হার্ডওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলির মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করে সমগ্র কার্যপ্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য তৈরি প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার। 

১৯৫১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের  জেনারেল মটর রিসার্চ ল্যাবরেটরী কর্তৃক IBM কর্পোরেশনের জন্য সর্বপ্রথম অপারেটিং সিস্টেম আবিষ্কৃত হয়।ইহা তখন মেইনফ্রেম কম্পিউটারে ব্যবহার করা হতো।অপারেটিং সিস্টেম আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে কাজগুলো একটির পর একটি অপেক্ষমান থাকার ব্যবস্থা হয়।ফলে সময় অপচয়  হ্রাস পায় ১৯৭১ সাল হতে অপারেটিং সিস্টেম পিসিতে ব্যবহার করা শুরু হয়।বর্তমান সময়ের অপারেটিং সিস্টেম গুলো আরো উন্নততর ,দ্রুততর ও সহজতর হয়ে এসেছে।

অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে

অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে ব্যবহারকারীর নির্দেশ অনুযায়ী কম্পিউটারের অভ্যন্তরে হার্ডওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম গুলির মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করে সমগ্র কার্যপ্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য তৈরি প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার।এইজন্য অপারেটিং সিস্টেমকে সিস্টেম সফটওয়্যার বলা হয়। অপারেটিং সিস্টেম বা সিস্টেম সফটওয়্যার অনেক রকম জটিল সূক্ষ্ম প্রোগ্রামের সমন্বয়ে গঠিত একটি সমন্বিত প্রোগ্রাম।

 যে সফটওয়্যার কম্পিউটার প্রোগ্রামেরএক্সিকিউশন নিয়ন্ত্রণ করে এবং সিডিউলিং ,ডিবাগিং ,ইনপুট/ আউটপুট নিয়ন্ত্রণ, একাউন্টিং,কম্পাইলেশন তথ্যাবলী সংরক্ষণ ,কার্যক্রম ,তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং আনুষঙ্গিক কাজ সমূহ করে থাকে তাকে অপারেটিং সিস্টেম বলে।


অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারী ও কম্পিউটারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে কম্পিউটার তার সমস্ত উপাদানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে।

অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ

বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলোঃ

ডস (Dos)-Dos এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Disk Operating System ( ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম)। যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোসফট কর্পোরেশন আইবিএম কম্পিউটারের জন্য প্রথম ডসই অপারেটিং সিস্টেম উদ্ভাবন করেন। ভিএম কম্পিউটারের জন্য ব্যবহৃত Dos কে Pc-Dos বলা হয়। মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কর্তৃক ১৯৮১ সালে প্রথম মাইক্রোসফট ডস অর্থাৎMS-DOS বলা হয়। আপনার প্রথম পর্যায়ে অপারেটিং সিস্টেম Multitasking এর সুযোগ ছিল না।

 বর্তমানে ব্যবহৃত ডস অপারেটিং সিস্টেম সীমিত চিত্র ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। কম্পিউটারকে ব্যবহারকারীদের নিকট আরো জনপ্রিয় করে তোলার জন্য এবং কম্পিউটারের ব্যবহারকে সহজ ও গতিশীল করার জন্য ডস এর ওপর ভিত্তি করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম উন্নয়ন করা হয়।

উইন্ডোজঃ উইন্ডোজ হচ্ছে আমেরিকার বিখ্যাত মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের তৈরি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম। প্রথম পর্যায়ের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ডস এর ওপর ভিত্তি করে চলত। এজন্য উইন্ডোজ কে স্বতন্ত্র অপারেটিং সিস্টেম বলা হত না। মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ১৯৮৫ সালে সর্বপ্রথম এই প্রোগ্রামটি বাজারজাত করে। এরপর ১৯৯০ সালে ভার্সন ৩.০ এবং ১৯৯২ সালে ৩.১ ও৩.১১ ভার্সন বের করে।

UNIX অপারেটিং সিস্টেম: ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বেল ল্যাবরেটরীতে কিন টমসন UNIX অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেন। প্রথম পর্যায়ে মিনি কম্পিউটারের জন্য লিখিত হলেও পরবর্তীতে মেইন ফ্রেম ও মাইক্রো কম্পিউটারে এটি ব্যবহার করা হয়। ১৯৭০ সালে ট্রাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে UNIX প্রকাশ পায়। মাল্টি টাস্কিং ও মাল্টি ইউজার অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ইউনিক্স একটি শক্তিশালী ও কার্যকরী অপারেটিং সিস্টেম। ইউনিক্স এর প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো হচ্ছে।

১। ইহা একটি মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেম।

২। ইহা উচ্চতার ভাষা সি-তে লিখা হয়।

৩। ইহা নেটওয়ার্কিং এর সুবিধা দেয়।

LINUX অপারেটিং সিস্টেম: লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম একটি বিশেষ সংস্করণ। ১৯৯০ সালে ফিনল্যান্ডের যুবক টারভোল্ডাস লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেন। লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের সিকিউরিটি ও গ্রাফিক্স অত্যন্ত শক্তিশালী। বিভিন্ন অফিস ও কোম্পানিতে লিনাক্স ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। লিনাস  টারভোল্ডাস অপারেটিং সিস্টেমের মূল অংশ কার্নেল উদ্ভাবন করেন এবং বাজারে ফ্রি হিসাবে ১৯৫২ সালে ছেড়ে দেন।

এই লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের অন্যতম সুবিধা সমূহ হলো-

১। লিনাক্স গ্রাফিক্যাল  অপারেটিং সিস্টেম।

২। লিনাক্স অপেন সোর্সকোড ভিত্তিক একটি অপারেটিং সিস্টেম হওয়ায় যে কেউ এর পরিবর্তন আনতে পারে।

৩। লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা যায়।

অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্ব

কম্পিউটার পরিচালনায় অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্ব অপরিসীম। অপারেটিং সিস্টেম ব্যতীত কম্পিউটার সম্পূর্ণ অচল। কম্পিউটারের সব ধরনের সফটওয়্যার থাকলে অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া এটি কোন কাজ করে না। অপারেটিং সিস্টেম কেবলমাত্র কম্পিউটারের সচল করে না এটি কম্পিউটারও ব্যবহারকারীর মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ব্যবহারকারীর কার্য সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

অপারেটিং সিস্টেম শুধু কম্পিউটারকে কার্যোপযোগী করে না বরং কম্পিউটারও ব্যবহারকারীর মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কম্পিউটারের সম্পাদিত তথ্যাবলী সংরক্ষণ ,ফাইল সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ ,বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি নির্ণয় ,সিস্টেম বন্টন, তত্ত্বাবধান ,ইনপুট /আউটপুট অপারেশন ,প্রোগ্রাম পরিচালনা সর্বোপরি কম্পিউটারের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদনে অপারেটিং সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহার

বর্তমান সময়ের প্রচলিত পিসি সমূহের প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে অপারেটিং সিস্টেম সমূহের অন্যতম সংস্করণ বের করা হচ্ছে। বর্তমান অপারেটিং সিস্টেম যে সকল কাজে ব্যবহার করা হয় তার নিম্নরূপ-

১। অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হলো ইনপুট আউটপুট যন্ত্রপাতি পরিচালনা করা।

২। প্রধান স্মৃতিতে ফাইল ও অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম নিয়ে আসা এবং কাজ করানোর ব্যবস্থা করা।

৩। ফাইল ও নথির ব্যবস্থাপনার কাজে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।

৪। সঠিকভাবে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম পরিচালনা করার কাজে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।

৫। হার্ডওয়ার সফটওয়্যার ও স্মৃতিতে রাখা বিভিন্ন তথ্যের সুরক্ষা করার কাজে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।

৬। নেটওয়ার্কিং সার্ভিস প্রদান করার কাজে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।

৭। বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার এর সাথে ডিভাইস সমূহের সংযোগ করিয়ে দেওয়া সফটওয়্যার সমূহ চলার পরিবেশ সৃষ্টি করার কাজে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।

৮। কম্পিউটার চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কমান্ডকে সমূহকে সংরক্ষণ করে এবং নির্দেশ মোতাবেক কার্যাবলী চালানোর জন্য সাহায্য প্রদান করার কাজে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।

অপারেটিং সিস্টেমের কাজ

বর্তমান সময়ের প্রচলিত পিসি সমূহের প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে অপারেটিং সিস্টেম সমূহের উন্নত সংস্করণ বের করা হচ্ছে। বর্তমানে অপারেটিং সিস্টেম যেসকল কাজ করে থাকে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো নিচে আলোচনা করা হলো-

১। ইউজার ইন্টারফেস

২। রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট

৩। ফাইল ম্যানেজমেন্ট

৪। টাস্ক ম্যানেজমেন্ট।

৫। সিকিউরিটি

৬। ইউটিলিটিস ইত্যাদি।

শেষ কথা

এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি যদি পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন ,তাহলে অবশ্যই অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে ?অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ , অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্ব ,অপারেটিং সিস্টেম কি কি কাজে ব্যবহার করা হয় ।এগুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে বিস্তারিত জেনে গেছেন। এ ধরনের পোস্ট আরো পড়তে চাইলে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। আর কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪