OrdinaryITPostAd

সফটওয়্যার কি ?সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ।

সম্মানিত পাঠক, সফটওয়্যার কি সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ আজকের এই আর্টিকেলে আমি এই বিষয়ে আলোচনা করব। আপনার যদি না জানা থাকে যে,সফটওয়্যার কি?সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ সম্পর্কে।


তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। আর আপনি যদি জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য নয়। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ সফটওয়্যার কি ?সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ।

  • সফটওয়্যার কি
  • সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ
  • সিস্টেম সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য
  • শেষ কথা

সফটওয়্যার কি

কম্পিউটারের সাহায্যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য ধারাবাহিক সাজানো নির্দেশ সমূহকে বলা হয় প্রোগ্রাম এবং একাধিক প্রোগ্রামের সমষ্টিকে বলা হয় সফটওয়্যার। প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়ারকে কার্যক্ষম করে। হার্ডওয়্যার সত্যিকার অর্থে কম্পিউটিং কাজ করে এবং সফটওয়্যার কম্পিউটার চালাই।

সফটওয়্যার ছাড়া হার্ডওয়্যার অর্থহীন। সফটওয়্যার ব্যবহারকারী এবং হার্ডওয়ারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে।

সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ

কম্পিউটারের সাধারণত দুই ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।

১। সিস্টেম সফটওয়্যার

২। অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার

১।সিস্টেম সফটওয়্যার কে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন -সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম, সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ,সিস্টেম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ।

২। অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন -সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম, অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম।

সিস্টেম সফটওয়্যার

কম্পিউটার অন করার সাথে সাথে কম্পিউটার স্মৃতিতে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম পড়ে নিতে এবং পঠিত প্রোগ্রামকে পরীক্ষণ ও চালনার জন্য যে সমস্ত সফটওয়্যার প্রয়োজন হয় তাকে সিস্টেম সফটওয়্যার বলে। সিস্টেম সফটওয়্যার হচ্ছে কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইনপুট/ আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ।ব্যবহারিক প্রোগ্রাম চালানোর জন্য কম্পিউটার কে তৈরি রাখে। সিস্টেম সফটওয়্যার বিভিন্ন রকমের হয়। এক ধরনের কম্পিউটারের উপযোগী করে তৈরি সফটওয়্যার পরিবর্তন করে না নিলে অন্য ধরনের কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় না। কম্পিউটারে ক্ষমতা ও সংগঠনের ওপর সিস্টেম সফটওয়্যার এর ক্ষমতা ব্যাপ্তি ও দক্ষতা নির্ভর করে। সিস্টেম সফটওয়্যারকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

১। সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট বা সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রাম।

২। সিস্টেম সহায়ক প্রোগ্রাম।

৩। সিস্টেম উন্নয়ন প্রোগ্রাম।

১। সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট বা সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রাম।

সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট বা নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রামের মাধ্যমে কম্পিউটারের হার্ডওয়ার সফটওয়্যার ডেটা প্রোগ্রাম বিভিন্ন ডিভাইস এবং নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম নিম্নলিখিত প্রোগ্রামের সমন্বয়ে গঠিত হয়। যেমন-

১। অপারেটিং সিস্টেম প্রোগ্রাম।

২। ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।

৩।নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম।

২।সিস্টেম সহায়ক প্রোগ্রাম

সহায়ক প্রোগ্রামের সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহারকারী সার্ভিস প্রোগ্রাম নিরাপত্তা প্রদানের প্রোগ্রাম এবং কাজের হিসাব নিকাশসহ ইত্যাদি কাজ কার্যকর করতে পারে। সিস্টেম সহায়ক প্রোগ্রাম নিম্নলিখিত প্রোগ্রাম গুলো নিয়ে গঠিত। যেমন-

১। সিস্টেম ইউটিলিটি প্রোগ্রাম।

২। সিস্টেম পারফরমেন্স প্রোগ্রাম।

৩। সিস্টেম সিকিউরিটি প্রোগ্রাম।

৩। সিস্টেম উন্নয়ন প্রোগ্রাম।

সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম উন্নয়ন করা যায় এবং বিভিন্ন ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান করা যায়। সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম উন্নয়ন করা যায় এবং বিভিন্ন ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান করা যায়। সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম নিম্নলিখিত প্রোগ্রাম গুলো নিয়ে গঠিত। যেমন-

১।প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেটর।

২। কম্পিউটার এইডেড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং প্যাকেজ সমূহ।

অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার

যে সমস্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করতে পারে তাকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হয়। এসব সফটওয়্যারকে সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়। এপ্লিকেশন সফটওয়্যারকে দুই ভাগে ভাগ করা যাই। যেমন-

১।সাধারণ ব্যবহারিক প্রোগ্রাম।

২। অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম বা কাস্টমাইজড প্রোগ্রাম।

১। সাধারণ ব্যবহারিক প্রোগ্রাম।

ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তৈরি যে সমস্ত বাণিজ্যিক সফটওয়্যার পাওয়া যায় তাকে সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম বলে। সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামের সাহায্যে ব্যবহারকারী প্রাত্যহিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান করতে পারে।

যেমন-ওয়েব ব্রাউজিং ,ই -মেইল ,ওয়ার্ড প্রসেসিং,ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট ,গ্রাফিক্স এবং ডেস্কটপ পাবলিশিং ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করতে পারে।

উল্লেখযোগ্য সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলো হচ্ছে

১। সফটওয়্যার স্যুইট -এম এস অফিস, লোটাস স্মার্ট স্যুইট ইত্যাদি।

২। ওয়েব ওয়েব ব্রাউজার ইন্টারনেট-এক্সপ্লোয়ার, নেটস্কেপ ,নেভিগেটর ,নেটস্কেপ কমিউনিটেকর। ইত্যাদি।

৩।  ইলেকট্রনিক্স মেইল বা ইমেইল-ইন্টারনেট মেইল, ইউডোরা প্রো, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইত্যাদি।

৪। ডেস্কটপ পাবলিশিং-পেজ মেকার ,পাবলিশার , ফটোশপ প্রভৃতি। 

অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম বা কাস্টমাইজড প্রোগ্রাম

কোন বিশেষ সুনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান করার জন্য যে সমস্ত প্রোগ্রাম রচনা করা হয় তাকে অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম বলে। সমস্যা ধরন ও প্রকৃতি অনুসারে ব্যবহারকারী অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম তৈরি করে থাকেন। এ ধরনের প্রোগ্রাম সাধারণত  উচ্চস্তরের ভাষায় লেখা হয় অথবা কোন সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যবহারকারী তার প্রয়োজন অনুসারে প্রোগ্রাম তৈরি করে থাকেন। 

উদাহরণস্বরূপ -ব্যাংকিং কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সফটওয়্যার ,একাউন্টিং এর কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের একাউন্টিং সফটওয়্যার ,ইলেক্ট্রনিক কমার্স ইনভেন্টরি কন্ট্রোল সফটওয়্যার,  পেরোল সিস্টেম, টিকেট রিজার্ভেশন সিস্টেম সফটওয়্যার ইত্যাদি হচ্ছে  অ্যাপ্লিকেশন নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম।

সিস্টেম সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য

১।সিস্টেম সফটওয়্যার হল কম্পিউটারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ।অপরদিকে ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রাম কে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে।

২। এই সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে । অপরদিকে ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক রকম তৈরি প্রোগ্রাম বাণিজ্যিক পণ্য হিসাবে পাওয়া যায়।

৩। সিস্টেম সফটওয়্যার তিন প্রকার ।যেমন -সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম ,সিস্টেম সাপোর্ট প্রোগ্রাম , সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। অপরদিকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার দুই প্রকার। যেমন-সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ,অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম।

৪। সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম দিয়ে কম্পিউটারের হার্ডওয়ার ,সফটওয়্যার ডেটা  এবং নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অপরদিকে সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম এর সাহায্যে ব্যবহারকারী প্রাত্যহিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন ।তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। এ ধরনের পোস্ট নিয়মিত পড়তে চাইলে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪