OrdinaryITPostAd

তথ্যপ্রযুক্তি কি? সমাজে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব বিশ্বায়নের প্রভাব জানুন

সম্মানিত পাঠক, বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ আর এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তথ্য প্রযুক্তি কি সেটা জানা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। আজকের এই আর্টিকেলে তথ্যপ্রযুক্তি কি ? সমাজে তথ্য প্রযুক্তি প্রভাব সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত তথ্য জেনে নেব।


আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য ।আর আপনি যদি জেনে থাকেন,   তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য নয়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ তথ্যপ্রযুক্তি কি ?সমাজে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব।

  • ভূমিকার 
  • ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব
  • যোগাযোগ ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব
  • শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব
  • বিজ্ঞান ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব
  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব
  • ডাক্তার প্রশিক্ষণে ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি
  • শিল্প সাহিত্যের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি
  • বিনোদনের ক্ষেত্রে
  • ডিজাইনের ক্ষেত্রে 
  • মহাশূন্য অভিযানের ক্ষেত্রে
  • শেষ কথা

ভূমিকা

 বর্তমান বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর এক আধুনিক বিশ্বে পরিণত হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আজ উন্নত দেশের সমাজ ব্যবস্থায় বিপুল পরিবর্তন এনেছে। কম্পিউটার নির্ভর তথ্যপ্রযুক্তি বর্তমান যুগে কম্পিউটার তার নিজ ক্ষমতা বলে সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে সহায়ক শক্তি হিসেবে এর আসন প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। তথ্যপ্রযুক্তি এখন যোগাযোগ প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করছে। এর তথ্যপ্রযুক্তির সাথে বদলে যাচ্ছে মানুষের চিন্তা ,চাহিদা,অভ্যাস ইত্যাদি।

সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে যেমন -ব্যবসা ,ব্যবস্থাপনা ,যোগাযোগ ,শিক্ষা ,বিজ্ঞান, চিকিৎসা এবং শিক্ষার সংস্কৃতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। কলকারখানায় অধিকতর দক্ষতা এনে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি। তথ্যপ্রযুক্তিতে যেসব মাধ্যম ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো হলো টেলিফোন ,টেলি প্রিন্টার ,টেলি টেক্সট ,টেলেক্স ,টেলিভিশন এবং সর্বোপরি কম্পিউটার।

ব্যবসা -বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব

ব্যবসা-বাণিজ্যের মান উন্নয়নের জন্য দ্রুত ব্যবসায়িক যোগাযোগ ক্রেতাদের দ্রুততর সেবা প্রদান, ব্যবসা-বাণিজ্যের লাভ ক্ষতি হিসাব এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক কাজে তথ্য প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া আজকাল ব্যাংক বীমা,ক্রেডিট কোম্পানি ,বিমান ,পরিবহন ,কেনাকাটা অনেক কর্মকাণ্ড অচল, বিশেষত উন্নত বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অসম্ভব।

যোগাযোগ ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব

টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। সড়কপথ ,রেলপথ ,জলপথে এবং আকাশ পথের যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করেছে সহজ ,দ্রুত এবং লাভজনক।  ফলে সময় ও শ্রমের অপচয় রোধ হচ্ছে। টেলিফোন ,টেলিভিশন, টেলি প্রিন্টার ,কম্পিউটার ইত্যাদি যোগাযোগ মাধ্যমে বিপ্লব এনে দিয়েছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব

আমি আপনি আমরা সবাই জানি আজকাল শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপকহারে কম্পিউটার ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার শিক্ষাকে সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্র ভর্তি ,সেশন অনুযায়ী ভর্তির রেকর্ড ,ফলাফল তৈরি ,মেধা ক্রম তৈরি ইত্যাদি কাজ কম্পিউটার ব্যবহার হয়। বর্তমানে লাইব্রেরীতে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। 

কম্পিউটারের সাহায্যে লাইব্রেরির বইয়ের সংখ্যা বইয়ের সূচি ছাত্র-ছাত্রীদের বই লেনদেন ইত্যাদির হিসাব রাখা হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় প্রচলিত লাইব্রেরীর লেন -দেনের অনেক ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া গেছে। 

 এখন ইচ্ছা করলে কেউ বাংলাদেশে বসে আমেরিকার কোন লাইব্রেরী থেকে বই পড়তে পারছে।পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের মানুষ তাদের প্রয়োজনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে ।তাছাড়া টেলিভিশন ,টেলিফোন, ই -মেইল ,ইন্টারনেট সর্বোপরি কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার যাবতীয় তথ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। শিক্ষার্থী ঘরে বসে ইন্টারনেটের সাহায্যে দূরের যে কোন স্থানে ক্লাসে অংশ নিতে পারে।

বিজ্ঞান ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব

বিজ্ঞানের ক্রমবিকাশের ধারায় তথ্যপ্রযুক্তির বিপুল এবং বিপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণা কর্ম নতুনভাবে প্রকাশিত হওয়ার ফলে টেলিফোন টেলিভিশন ইমেইল ইন্টারনেট ইত্যাদির মাধ্যমে সারা বিশ্বের ছড়িয়ে পড়ছে এবং গবেষণা কর্ম সমৃদ্ধ লাভ করছে। ফলে বিজ্ঞান সামনের দিকে এগিয়ে চলছে রকেটের গতিতে।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব

তথ্য প্রযুক্তি চিকিৎসা ক্ষেত্রে অসামান্য সাধন করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ ঘরে বসে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে চিকিৎসা সেবা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। নতুন নতুন ওষুধের উদ্ভাবন এবং রোগ নিরাময়ের সর্বশেষ পদ্ধতি আজ সবাই জেনে যাচ্ছে। বর্তমানের জটিল ও দুরারোগ্য রোগ যেমন -ক্যান্সার ,এইডস বিভিন্ন ধরনের টিউমার ইত্যাদির গঠন প্রকৃতি এবং উক্ত রোগের নিরাময়ের জন্য ব্যাপক গবেষণা চলছে। 

এরই ফল শ্রুতিতে ক্যান্সার ও টিউমারের চিকিৎসা এখন অনেকটা নিরাময় যোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য রোগীদের বিভিন্ন তথ্য দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে এই কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করা হচ্ছে। কম্পিউটার ব্যবহার করে এই সকল তথ্য বিশ্লেষণ সহজ বা একই রোগে আক্রান্ত বিভিন্ন রোগীদের এ সকল তথ্য একত্রে বিশ্লেষণ করে রোগীদের বিভিন্ন সময়ের অবস্থা ব্যবহৃত ওষুধ রোগের অবস্থা ইত্যাদি পর্যবেক্ষণের সুবিধা হয়েছে ।

ডাক্তার প্রশিক্ষণে ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি

বর্তমান সময়ে প্রতিটি সেক্টরে উন্নতির সাথে সাথে চিকিৎসা বিজ্ঞানে হয়েছে  অভূতপূর্ন উন্নতি। এর প্রায় সবটুকুর দাবিদার তথ্যপ্রযুক্তির। ডাক্তার প্রশিক্ষণ রোগ নির্ণয় ওষুধ নির্ণয় ওষুধ তৈরি অজানা রোগ গবেষণা ইত্যাদি কাজে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার হয়ে আসছে। 

মাল্টিমিডিয়ার কল্যাণে শরীরের বিভিন্ন জটিল ও সংবেদনশীল অংশের গঠন যা স্বচক্ষে দেখলে যে অভিজ্ঞতা লাভ করা যায় কম্পিউটারের মাধ্যমে তা বারবার দেখার সুযোগ থাকায় তার চেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা লাভ করা সম্ভব হচ্ছে এবং ওইসব অঙ্গ পতঙ্গ সম্পর্কে সঠিক ও বাস্তব জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন জটিল ও দুর্লভ অপারেশনের সচিত্র সিডি পাওয়া যায়। যা থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণ আরো অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে।

শিল্প সাহিত্যের ক্ষেত্রে

তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে আজ শিল্প সাহিত্যের ব্যাপক প্রসার হচ্ছে। সাহিত্য ও শিল্প কর্মের ফলাফল আজ মুহূর্তে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এবং মানুষের কল্যাণে সেসব কর্ম অবদান রেখে যাচ্ছে।

বিনোদনের ক্ষেত্রে

বিনোদনে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্ব আজ আমাদের হাতের মুঠোয়। সারা বিশ্বের টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান আজ ঘরে বসে উপভোগ করা যাচ্ছে। ফলে তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের বিনোদনের সকল চাহিদাকে পূরণ করে যাচ্ছে।

ডিজাইনের ক্ষেত্রে

শিল্প কারখানা বাড়িঘর থেকে আরম্ভ করে সেতু ,জাহাজ ,রকেট ইত্যাদির ডিজাইন বা নির্মাণ পরিকল্পনা কম্পিউটার দিয়ে করা হয়। ডিজাইন বিশ্লেষণ এবং সঠিক চিত্র তুলে ধরার জন্য কম্পিউটারের ব্যবহার বর্তমানে সবচেয়ে সফলতার পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।

মহাশূন্য অভিযানের ক্ষেত্রে

বর্তমান বিশ্ব মহাকাশ অভিযান অনেকটা মর্যাদার লড়াই। যে সকল দেশ মহাকাশ অভিযানে যত সফল তারা তত ক্ষমতাবান। এই ক্ষমতার পেছনে রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি। নভোযান ডিজাইন নিয়ন্ত্রণ এবং নভো যোগাযোগ সবটাই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। 

এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্রের নাসা। ওই প্রতিষ্ঠানের শত শত কম্পিউটার ব্যবহার করে নভোযানের অবস্থান গতি প্রদর্শন ও নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হয়। বিভিন্ন গ্রহে মহাকাশযান পাঠানো সেই মহাকাশযানের গ্রহ পর্যবেক্ষণ মহাকাশযানের সেখানে অবস্থান এবং গ্রহ ত্যাগ ইত্যাদি কম্পিউটার এবং কম্পিউটার সহায়ক যন্ত্র দিয়ে ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ করা হয় ।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি এ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যেই আপনি জেনে গেছেন তথ্য প্রযুক্তি কি ? সমাজে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। এ ধরনের আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমার ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪