OrdinaryITPostAd

কম্পিউটার হ্যাকিং কি ? হ্যাকিং রোধে সতর্কতা ।হার্ডওয়্যার চুরি প্রতিরোধ। ডেটা চুরি।

 সম্মানিত পাঠক ,আজকের আর্টিকেলে কম্পিউটার হ্যাকিং কি ?হ্যাকিংরোধে সর্তকতা , হার্ডওয়্যার চুরি প্রতিরোধ ,ডেটা চুরি ,কম্পিউটার ভাইরাস কি ?কম্পিউটার ভাইরাসের ইতিহাস ,ভাইরাসের প্রকারভেদ এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।


আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য আর আপনি যদি জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য নয়।

পোস্ট সূচিপত্র-কম্পিউটার হ্যাকিং কি ? হ্যাকিং রোধে সতর্কতা  ।হার্ডওয়্যার চুরি প্রতিরোধ। ডেটা চুরি।

  • কম্পিউটার হ্যাকিং কি ? 
  • হ্যাকিং রোধে সতর্কতা  ।
  • হার্ডওয়্যার চুরি 
  • হার্ডওয়্যার চুরি প্রতিরোধ। 
  • ডেটা চুরি।
  • কম্পিউটার ভাইরাস
  • কম্পিউটার ভাইরাসের ইতিহাস
  • ভাইরাসের প্রকারভেদ 
  • শেষ কথা

কম্পিউটার হ্যাকিং কি 

অবৈধভাবে বা বিনা অনুমতিতে কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে কম্পিউটার ব্যবহার করা তথ্য গায়েব করা তথ্য চুরি করা তথ্যের বিকৃতি ঘটানো বা অন্যের কম্পিউটারকে বিশেষ পন্থায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়াকে হ্যাকিং বলে ।

যারা হ্যাকিং এর কাজ করে তাদেরকে হ্যাকার বলে অর্থাৎ হ্যাকারদের যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে হ্যাকিং বলে ।হ্যাকিং বৈধ ও অবৈধ হতে পারে। অবৈধভাবে যারা হ্যাকিং করে তাদেরকে ক্রেকার বলে । হ্যাকাররা বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে  নেটওয়ার্ক ভুক্ত বিভিন্ন কম্পিউটারে আক্রমণ করে। বিশেষ ধরনের এ সফটওয়্যারকে বলে স্পাই ওয়ার।

হ্যাকিং রোধে সতর্কতা  

কম্পিউটারের হ্যাকিং সম্পূর্ণরূপে রোধ করা সম্ভব নয় ।তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে অনেকাংশে হ্যাকিং রোধ করা যায়। হ্যাকিং রোধে করণীয় কাজগুলো নিচে দেখানো হলো-

১। ডেটার নিরাপত্তার জন্য সমস্ত ডেটাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা।

২। নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের সব ফাইলে প্রবেশের অনুমতি না দেয়া।

৩। হ্যাকারদের  ম্যাক্রো ভাইরাস প্রতিরোধে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার হাতের কাছে রাখা।

৪। হ্যাকিং সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে ট্রোজান হর্স মারাত্মক একটি যন্ত্র। এটির হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সাম্প্রতিকতম অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।

৫। গুরুত্বপূর্ণ ডেটা এনক্রিপ্ট করে ব্যবহার করা।

৬। যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ,বিশেষ করে যারা উচ্চগতির (ব্রডব্যান্ড) সংযোগ ব্যবহার করে থাকেন তাদের কম্পিউটারে ফায়ারওয়াল সফটওয়্যার ব্যবহার খুব জরুরি। যা কম্পিউটারকে অন্যের হস্তক্ষেপ, হ্যাকিং প্রচেষ্টা থেকে মুক্ত রাখবে।

৭। ইন্টারনেটে প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট নিউজ গ্রুপ এবং মেইলিং লিস্ট এর সাহায্যে হ্যাকারদের গতিবিধি লক্ষ রাখা।

হার্ডওয়্যার চুরি 

কম্পিউটার ব্যবহারকারী অনুপস্থিতিতে কম্পিউটারের মূল্যবান বা যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ যেমন সিপিউ, মাউস কি বোর্ড ,প্রিন্টার , ভিডিও কার্ড যখন চুরি বা খোয়া যায় তাকে হার্ডওয়্যার  চুরি বলে।হার্ডওয়্যার চুরির ফলে ব্যবহারকারীকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পুরনো কম্পিউটার যা ব্যবহারকারী দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার করছে হঠাৎ করে কোন যন্ত্রাংশ চুরি হলে নতুন করে হার্ডওয়্যার কিনতে হয়, এক্ষেত্রে অনেক অসুবিধা দেখা যায়। 

পুরনো মেশিন উপযোগী হার্ডওয়ার বাজারে পাওয়া যায় না অথবা গেলেও তা মেশিনের সাথে সাপোর্ট করে না। এছাড়া চুরি কি তো হার্ডওয়্যার সংরক্ষিত প্রোগ্রামে বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ব্যবহারকারী হারিয়ে থাকেন যার ফলে ব্যবহারকারীর সমস্যায় অন্ত থাকে না। তাই অনেক সময় হার্ডওয়ার চুরিকে ডেটা চুরিও বলা হয়ে থাকে। কেননা কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক, সিডি ফ্লপি চুরি হলে একই সাথে হার্ডওয়্যার ও ডেটা চুরি হয়ে থাকে।

হার্ডওয়্যার চুরি প্রতিরোধ

হার্ডওয়্যার চুরি প্রতিরোধে নিচে লিখিত পদক্ষেপগুলো কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে

১। কম্পিউটারের সাথে সেন্সরিং অ্যালাম সংযোজন।

২। মোবাইল এবং কম্পিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে কম্পিউটারের হার্ডওয়ার চুরি রোধ করা যেতে পারে।

৩। কম্পিউটারকে তালাবদ্ধ রুমে আলাদা করে রাখাটাই শ্রেয়।

৪।  কম্পিউটারের বাহিক হার্ডওয়্যার সমূহ যেমন -মাউস ,কিবোর্ড, প্রভৃতি সংরক্ষণ করা।

৫। নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা।

৬। হার্ডডিক্সের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বা সফটওয়্যার ব্যাকআপ সংরক্ষণ করা।

৭। নোট বুক,ল্যাপটপ কম্পিউটার ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা।

ডেটা চুরি

বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের ফলে কম্পিউটার অপরাধের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলছে। তেমনি এক অপরাধ হল ডেটা চুরি। সাধারণত প্রযুক্তিগত দক্ষ ব্যক্তিরাই ডেটা চুরির কাজটা বেশি করে থাকেন। প্রত্যেক ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠান এমন কিছু তথ্য আছে যেগুলো অত্যন্ত গোপনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ। যেমন পাসওয়ার্ড, ব্যাংক  একাউন্ট নং,  কেডিট কার্ড নং, সোশ্যাল সিকিউরিটি নং প্রভৃতি যখন ব্যবহারকারীর অগোচরে অন্য কোন ব্যক্তির দ্বারা হস্তগত হয় তখন তাকে ডেটা চুরি বলে। এ ধরনের তথ্যাবলী চুরি আইনের চোখে দন্ডনীয় অপরাধ। 

অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে বেআইনিভাবে তথ্য কপি বা সংগ্রহ করায় হলো ডেটা চুরি। ডেটা চুরি রোধে পাসওয়ার্ড ব্যবস্থা পর্যন্ত প্রায় অকার্যকর হয়ে যায়। কারণ কম্পিউটারে দক্ষ অসংখ্য হ্যাকার যাদের কাজই হল অফুরন্ত সময় ব্যয় করে গোপনীয় নম্বর বা পাসওয়ার্ড বের করা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই করে তারা সফল হয়। এছাড়া ইন্টারনেটের সাহায্যে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ডেটা চুরির করার ঘটনা ঘটছে অহরহ। ডেটা চুরি প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় ।যথা -তথ্য চুরি ,অস্তিত্ব চুরি।

তথ্য চুরি ঃ যখন কোন হ্যাকার বা অন্য কেউ একজন ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের ফাইল এর পাসওয়ার্ড ভঙ্গ করে ফাইল বা ডকুমেন্টের তথ্য অগোচরে পড়ে নেয় তাকে তথ্য চুরি বলে।

অস্তিত্ব চুরিঃ নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইউজার আইডি এন্ড পাসওয়ার্ড চুরিকে কারো অস্তিত্ব চুরি বোঝায়। কেননা এ সকল তথ্য দিয়ে হ্যাকারগণ প্রকৃত ব্যবহারকারীর অস্তিত্ব খর্ব করে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করে থাকেন ।এতে ব্যবহারকারী বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন।

কম্পিউটার ভাইরাস

কম্পিউটার ভাইরাস একটি প্রোগ্রাম যা ,কম্পিউটারের স্বাভাবিক কর্ম সম্পাদনে বাধা সৃষ্টি করে এবং নিজেকে কপি করার মাধ্যমে বংশবিস্তার করে থাকে ।ল্যাটিন শব্দ (বিষ) ভাইরাস থেকে এই শব্দটি জৈবিক  ভাইরাসে গৃহীত হয়েছিল। কম্পিউটার ভাইরাস জৈবিক ভাইরাসের অনুরূপ আচরণ করে বলে এই প্রোগ্রামগুলোকে ভাইরাস নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। কম্পিউটার ভাইরাস কোন কম্পিউটার ছাড়া নিজেদের প্রকাশ করতে পারেনা।

কম্পিউটার ভাইরাসের ইতিহাস

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে কম্পিউটার জনিত ভাইরাসের আগমন ঘটে। ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম ব্যাখ্যা দেন ফ্রেড কহেন নামে একজন বিজ্ঞানী। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দিকে কিছু কম্পিউটার বিজ্ঞানী ভাইরাস নিয়ে খেলা শুরু করেন।

 ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে Xerox কর্পোরেশন নেটওয়ার্ক সিস্টেমের জন্য একটি Self-Reflicating code তৈরি করে ।এই কোডের সাহায্যে প্রোগ্রামাররা নতুন নতুন ভাইরাস সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। সাধারণত বড় বড় প্রোগ্রামাররা এই কম্পিউটার ভাইরাস তৈরি করে থাকে। কম্পিউটারের ভাষায় ভাইরাসকে ভাঙ্গলে পাওয়া যায় (VIRUS-Vital Information Resources under Seize) । প্রখ্যাত গবেষক ফ্রেড কহেন কম্পিউটার ভাইরাসের নামকরণ করে।

ভাইরাসের প্রকারভেদ

কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস পরিলক্ষিত হয়। কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা দুষ্ট প্রোগ্রামার প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রোগ্রাম তৈরি করছে। কম্পিউটারের আক্রমণের ধরন অনুসারে ভাইরাস বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন-

১। বুট সেক্টর ভাইরাস

২। ফাইল সংক্রামক ভাইরাস

৩। কমান্ড পারপাস ভাইরাস

৪। মাল্টিপারপাস ভাইরাস

৫। মেমোরি রেসিডেন্ট ভাইরাস

৬। জেনারেল পারপাস ভাইরাস

৭। ওভার রাইটিং ভাইরাস

৮। ম্যাক্রো ভাইরাস 

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক ,আপনি যদি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ইতিমধ্যে আপনি জেনে গেছেন কম্পিউটার হ্যাকিং কি ?হ্যাকিংরোধে সতর্কতা  ,হার্ডওয়্যার চুরি প্রতিরোধ, ডেটা চুরি কম্পিউটার ভাইরাস ,কম্পিউটার ভাইরাসের ইতিহাস ,ভাইরাসের প্রকারভেদ এগুলো সম্পর্কে। আপনি এরকম তথ্যমূল্যক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চাইলে আমার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪