OrdinaryITPostAd

গ্লোবাল বা বৈশ্বিক ব্যবসায় -বাণিজ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার ।গ্লোবাল আইটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইন্টারনেট।

 প্রিয় পাঠক ,আজকের এই আর্টিকেল জুড়ে গ্লোবাল বা বৈশ্বিক ব্যবসায় বাণিজ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার, গ্লোবাল আইটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইন্টারনেট ।এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে আপনি যদি না জেনে থাকেন।


তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।আর আপনি যদি জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য নয়।

পোস্ট সূচিপত্র-গ্লোবাল বা বৈশ্বিক ব্যবসায় -বাণিজ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার। গ্লোবাল আইটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইন্টারনেট।

  • গ্লোবাল বা বৈশ্বিক ব্যবসায় -বাণিজ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার।
  • যোগাযোগ ও সহযোগিতা।
  • ই-কমার্স।
  • বিশ্বব্যাপী ব্যবসার সুযোগ।
  • কৌশলগত মিত্র।
  • ইন্টারেকটিভ বাজারজাতকরন।
  • ফেডেক্স এবং ইউপিএস।
  • গ্লোবাল আইটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইন্টারনেট।
  • বিশ্বব্যাপী প্রচারণা।
  •  মিথস্ক্রিয়া বা মতবিনয়।
  • কাস্টমাইজেশন।
  • ইলেকট্রনিক কমার্স।
  • শেষ কথা

গ্লোবাল বা বৈশ্বিক ব্যবসায়-বাণিজ্য ইন্টারনেটের ব্যবহার


বর্তমান সময়ে গ্লোবাল বা বৈশ্বয়িক ব্যবসায় ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ।ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার বর্তমানে বিশ্বকে মানুষের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে।ইন্টারনেট প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে মানুষ ঘরে বসে সমস্ত ব্যবসায়িক কাজ করতে পারে।গ্লোবাল বা বৈশ্বয়িক ব্যবসায় ইন্টারনেটের যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় তা নিম্নে আলোচনা করা হল। যেমন-যোগাযোগ ও সহযোগিতা, ই-কমার্স, বিশ্বব্যাপী ব্যবসার সুযোগ, কৌশলগত মিত্র, ইন্টারেকটিভ বাজারজাতকরন, ফেডেক্স এবং ইউপিএস ইত্যাদি।

যোগাযোগ ও সহযোগিতা


বর্তমান যুগে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ছাড়া প্রায় অচল। ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার বর্তমান বিশ্বকে এনে দিয়েছে মানুষের হাতের মুঠোয়। এই ইন্টারনেটের মাধ্যমেই বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মার্কেট যাচাই ও অনুসন্ধান, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সহায়তা প্রদান, পণ্যের গুনাগুন বর্ণনা ইত্যাদি কাজ করে থাকে।
ইন্টারনেটের ওয়েবসাইট ই -মেইল , বুলেটিং বোর্ড সিস্টেম ,অডিও ভিডিও কনফারেন্সিং ইত্যাদির সাহায্যে অভ্যন্তরীণ ও বাহিক তথ্য অনুসন্ধান ,ধারণা প্রচার ,আলোচনা -সমালোচনা সহজেই করা যায়।আর যার ফলেই সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন দেশের মধ্যে এত উন্নত ব্যবসা বাণিজ্যের সিস্টেম ।যোগাযোগ সহযোগিতার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা যে কত ব্যাপক আমাদের দেশের গার্মেন্টস শিল্পের দিকে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়।

ই-কমার্স 


ই কমার্স  এর পুরো নাম হলো ইলেকট্রনিক কমার্স(Electronics Commerce)। সাধারণত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্রেতা হতে অর্থ সংগ্রহ ও বিনিময়ে পণ্য বা সেবা বিক্রয় এবং ক্রেতা ও বিক্রেতার বা ব্যবসায়িক থেকে ব্যবসায়িকের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এর সিস্টেমকে বলা হয় ই-কমার্স। অর্থাৎ ই কমার্সের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক উপায় বাজারজাতকরণ ক্রয় বিক্রয় পণ্য ও সেবার সহায়তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতা এবং বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংযোগ সাধিত হয়। 
যার ফলেই ক্রেতারা ঘরে বসেই তাদের পছন্দনীয় দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করতে পারে ।এতে সময় ও শ্রমের ব্যাপক সাশ্রয় হয়।তাছাড়া ই-কমার্সের ফলেই ব্যবসায়িক লেনদেন বিভিন্ন ডেটা আদান-প্রদান এবং নিরাপদ তহবিল স্থানান্তর সম্ভব হয়।তাই বলা যাই ই-কমার্সের ফলেই বিশ্বব্যাপী ব্যবসা বাণিজ্যে এখন মানুষের হাতের মুঠোই।


বিশ্বব্যাপী ব্যবসার সুযোগ


ইন্টারনেটের ইমেইল, ওয়ার্ড ওয়াইড ওয়েব এর জন্যই বিভিন্ন দেশের মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে উঠেছে সহজ। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। যার ফলে পণ্য ক্রেতা সেবাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সারা বিশ্বে একই সাথে  প্রচারণা চালানো যায়।আবার তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ করা যায়।

কৌশলগত মিত্র


ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নয়নে কৌশলগত মিত্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে।

ইন্টারেকটিভ বাজারজাতকরণ


আধুনিক বিশ্বে ইন্টারনেট প্রযুক্তি কল্যাণে কোন প্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব ওয়েব সাইটে তৈরিকৃত পণ্যের বাজারজাতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ইন্টারেকটিভ বাজারজাতকরণ বলতে বোঝায় ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ে পরস্পরের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের পাশাপাশি বিক্রেতা ক্রেতা প্রতিক্রিয়াও সংগ্রহ করা।এই সিস্টেমে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় দিকে তথ্য প্রবাহ ঘটে যার মূল ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় ইন্টারনেট।

ফেডেক্স এবং ইউপিএস


দ্রুত ডাক বা মাল প্রেরণ প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ফেডেক্স এবং ইউপিএস পৃথিবীর নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান ।ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হচ্ছে এই দুটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার চাবিকাঠি। উভয় প্রতিষ্ঠানই ইন্টারনেট, ইন্ট্রানেট এবং এক্সট্রানেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের কার্য সমাধান করে। এই সকল প্রযুক্তির ফলে এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সার্ভিস চালু করেছে। যেমন -অনলাইন ট্রেকিং সার্ভিস ,ওয়েব শিপিং সার্ভিস ।এই সার্ভিসের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বা ডকুমেন্ট কোথায় কোন অবস্থায় আছে তা সহজে জানতে পারে। তাই বলা যায় বিশ্বব্যাপী ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টিতে ইন্টারনেটের ভূমিকা অপরিহার্য। 

গ্লোবাল আইটি প্লাটফর্ম হিসেবে ইন্টারনেট


ইন্টারনেট দক্ষ ও কার্যকরী যোগাযোগ নিশ্চিত করে যা ব্যবসায়ের প্রতিটি অংশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রযুক্তির ব্যবহারে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য ব্যয় হ্রাস পায়। একজন ব্যবসায়ী ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তার পণ্যের গুনাগুন বৈশিষ্ট্য মূল্য ইত্যাদির সমন্বয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্রেতা বা ব্যবসায়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারে ।
ফলে বিশ্ব বাজারে ঘরে বসেই প্রবেশ করতে পারে ।এর ফলে তার খরচ ও সময়ের অপচয় হয় না ।নিম্নলিখিত কারণ সময়ের জন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইন্টারনেটকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে

 বিশ্বব্যাপী প্রচারণা


বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ বৃহৎ ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ব্যবহার করে। বিশ্বায়নের যুগে ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ হয়ে উঠে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য ,ক্রেতা , সেবাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সারা বিশ্বে একই সাথে প্রচারণা চালানো যায়। আবার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ করা করা যায়। ই -মেইল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ব্যবহার করেও আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্যের সাথে যোগাযোগ করা যাবে।

মিথস্ক্রিয়া বা মতবিনিময়


ইন্টারনেটের আরেকটি প্রধান গুন হচ্ছে পারস্পরিক যোগাযোগ। ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্রেতা পাওয়া সম্ভাব্য ক্রেতাদের সাথে সহজে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়।ইন্ট্রানেটএবং এক্সট্রানেট প্রতিষ্ঠান এবং ক্রেতার মধ্যে পারস্পরিক তথ্য বিনিময় করে থাকে। বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানের পণ্য সেবার শ্রেণী সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য থাকে যা মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরা হয়। 
ফলে একজন সম্ভাব্য ক্রেতা ক্রয়ে  আগ্রহী হয় এবং প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করতে পারে। ক্রেতার কাজ থেকে প্রতিষ্ঠান পণ্য সম্পর্কে কোন মতামত থাকলে তাও ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানা যায়। ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেলি কনফারেন্সিং বা ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে মানুষ দূর দূরান্তের অবস্থান করেও একে অপরের সাথে সরাসরি ব্যবসায়িক আলাপ আলোচনা করতে পারছে।


কাস্টমাইজেশন


ইন্টারনেট ,ইন্ট্রানেট এবং এক্সট্রানেট এর আরেকটি ব্যবসায়িক গুণ হচ্ছে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একক বা নির্দিষ্ট ক্রেতার জন্য তথ্য ও সেবা নিশ্চিত করে ।নেটওয়ার্ক ভিত্তিক কম্পিউটার সার্ভার থেকে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য সঠিকভাবে জানা যায় ।যেমন একজন ব্যক্তির ব্যাংক হিসেবের ব্যালেন্স ,বিল ইত্যাদি জানা যায়।


শেষ কথা


সম্মানিত পাঠক, আপনি যদি এইরকম তথ্যপ্রযুক্তি মূলক পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আমার ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করবেন। এবং এই পোস্ট সম্পর্কে যে কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪