OrdinaryITPostAd

ই -পাসপোর্ট কি ? ই -পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে

 
  প্রিয় পাঠক, আপনি যদি ই -পাসপোর্ট কি ?কিভাবে ই -পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হয় এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না জেনে থাকেন।তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য ।

আর আপনি যদি জেনে থাকেন  ই -পাসপোর্ট কি ?কিভাবে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হয় তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য না। 


পোস্ট সূচিপত্রঃই -পাসপোর্ট কি ? ই -পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে।


  • ই -পাসপোর্ট কি ?
  • ই -পাসপোর্ট এর সুবিধা
  • ই -পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
  • পাসপোর্ট অফিসে যে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে হয়
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন কি?
  • পুলিশ ভেরিফিকেশনে সাধারণত কতদিন সময় লাগে
  • পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া
  • পুলিশ ভেরিফিকেশনে কত টাকা লাগতে পারে
  • ই -পাসপোর্ট এর মেয়াদ কত বছর
  • শেষ কথা

ই -পাসপোর্ট কি?


ই পাসপোর্ট হচ্ছে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ই -পাসপোর্ট চালু হয়েছে। পুরনো পাসপোর্ট বা প্রচলিত পাসপোর্ট এর সাথে ই -পাসপোর্ট এর পার্থক্য হলঃ
 বাহিরে থেকে দেখলে প্রচলিত পাসপোর্ট এবংই -পাসপোর্ট এর মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ হলো দুইটি পাসপোর্ট এর কভার দেখতে এক রকম। তবে এর ভেতরে পার্থক্য দেখা যায়।

 যেমনঃ প্রচলিত পাসপোর্ট এর প্রথম দুই পাতায় যে তথ্যগুলো থাকে।ই -পাসপোর্ট এর প্রথম দুই পাতায় সে তথ্যগুলো থাকে না। এর পরিবর্তে সেখানে রয়েছে একটি কার্ড ও একটি এ্যান্টেনা। এই কার্ডের ভিতরে থাকে একটি চিপ। যেখানে পাসপোর্টকারীর বা পাসপোর্ট বাহককারীর সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে। এই তথ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে ।
১।পাসপোর্টধারীর নাম .২।পাসপোর্ট নম্বর .৩।জন্ম তারিখ .৪।তিন ধরনের ছবি 
.৫।দশ আঙ্গুলের ছাপ ৬।চোখের আইরিশ

ই -পাসপোর্ট এর সুবিধা


এর মাধ্যমে অনলাইনে যেকোনো দেশের অধিবাসন কর্তৃপক্ষ সহজেই ভ্রমণকারী সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে বা যাচাই করতে পারবেন এবং সেই সাথে মেশিন রিডেবল অপশন ও রয়েছে।যার ফলে ই -গেট না থাকলে ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে পাসপোর্টধারীর কোন সমস্যা হচ্ছে না। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা সেটি স্ক্যান করে কেন্দ্রীয় সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করতে এবং পাসপোর্ট সংক্রান্ত সকল কাজ করতে পারেন।

ই -পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে


আপনি কি জানেন? ই পাসপোর্ট করতে হলে কি কি কাগজপত্র লাগে। যদি না জেনে থাকেন চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ,আর আপনি যদি জেনে থাকেন তাহলে নতুন করে জানার প্রয়োজন পড়বে না। 
আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের উপরে হয় তাহলে অবশ্যই আপনার এন আই ডি কার্ড প্রয়োজন হবে। আর আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের নিচে হয় তাহলে জন্ম নিবন্ধন লাগবে। এরপর আপনার পিতামাতার এন আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে। 

তারপর লাগবে আপনার পেশাগত সার্টিফিকেট আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে একাডেমিক সার্টিফিকেট, আপনি যদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে ট্রেড লাইসেন্স লাগবে, আপনি যদি কৃষক হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জমির পর্চা লাগবে,
 
তারপর আপনার নাগরিক সনদপত্র লাগবে, এটা আপনি খুব সহজে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পেয়ে যাবেন । আপনার বাড়ি সিটি কর্পোরেশনের ভিতরে হয়ে থাকলে সিটি কর্পোরেশন থেকে নাগরিক সনদপত্র সহজেই ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন। 

আপনার আগে যদি কোন পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে সেই পাসপোর্ট এর ফটোকপি অবশ্যই লাগবে।
 আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লাগবে সেটা হল বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি অথবা গ্যাস বিল এর ফটোকপি বা পানি বিলের ফটোকপি, এই তিনটির মধ্যে যে কোন একটি লাগবে ।আপনার নামে বিদ্যুৎ বিলের বা পানি বিলের কাগজ থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই, আপনার পরিবারের যেকোন সদস্যের নামে থাকলে কোন সমস্যা হবে না।

 আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বিয়ের কাবিননামার ফটোকপি লাগবে, আপনাদের স্বামী -স্ত্রীর এন আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
 তারপর আপনি ই -পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার পর Application  Summary নামে একটি পেজ আপনি হাতে পেয়ে যাবেন। এই পেজটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট করে নিবেন।Application  Summary তে উল্লেখ করা থাকবে আপনাকে কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে।  ঠিক তত টাকা আপনি পেমেন্ট করে দিবেন । 


আপনি অনলাইনের মাধ্যমে অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট করে নিতে পারবেন। আপনি যেকোনো ব্যাংকে গিয়ে যদি বলেন আমি পাসপোর্ট এর ফ্রি প্রদান করতে এসেছি তাহলে উনারা বুঝে যাবেন।আপনার পাসপোর্টের ফি প্রদান করাটা সহজ হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি বিকাশ ,নগদ ও রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন।পেমেন্ট করার পর সেখানে আপনি একটি চালান নাম্বার পেয়ে যাবেন।

এই চালান নাম্বার নিয়ে এবং বাকি কাগজগুলো নিয়ে আপনি আপনার জেলার মধ্যে যে পাসপোর্ট অফিস রয়েছে সেই পাসপোর্ট অফিসে চলে যাবেন। তারপর উনারা আপনার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখবেন, ১০ আঙ্গুলের ছাপ নিবেন, চোখের বায়োমেট্রিক নিবেন, সকল বায়োমেট্রিক দেয়ার পর আপনি চলে আসবেন। 

এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে  তাহলে আমি পাসপোর্টটি কবে হাতে পাব ?। আপনি Regular-৩০ দিন,Express-৭ থেকে ১৫ দিন,Super Express- ২থেকে ৩ দিনের মধ্যে আপনার পাসপোর্টটি হাতে পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তুSuper Express আবেদন করতে পারবেন না। কিন্তু Regular এবংExpress এ আবেদন করতে পারবেন।

পাসপোর্ট অফিসে যে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে হয়


নতুন পাসপোর্ট এর জন্য আপনাকে কোন কোন ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে এগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
১। অনলাইনের আবেদন ফরম ।
২। অনলাইনে আবেদনের ডকুমেন্ট।
৩। অনলাইনে পেমেন্ট রশিদ বা ব্যাংক রশিদ।
৪। আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং অরিজিনাল ভোটার আইডি কার্ড সাথে করে নিয়ে যেতে হয়।
৫। নাগরিকত্বের সনদপত্র।
৬। বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি বা গ্যাস বিলের ফটোকপি।
নতুন পাসপোর্ট এর জন্য আপনাকে এই ছয় ধরনের কাগজপত্র পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।

পুলিশ ভেরিফিকেশন কি?


ই -পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার পর থেকে বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয় তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো পুলিশ ভেরিফিকেশন ।এই পুলিশ ভেরিফিকেশন যত দ্রুত হবে তত তাড়াতাড়ি আপনি এক ধরনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। 
পুলিশ ভেরিফিকেশন বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়ে থাকে।আপনি ই -পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার সময় যে তথ্যাদি দিয়েছেন সেই তথ্যাদি গুলি কতটা বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য তা যাচাই করে থাকে এ পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময়। 
পুলিশ সাধারণত প্রার্থীর জাতীয়তা , প্রার্থীর স্থায়ী ওঅস্থায়ী ঠিকানা ,প্রার্থীর পারিবারিক অবস্থা, কর্মসংস্থানের ঠিকানা এবং তার বিরুদ্ধে কোন  ফৌজদারী মামলা আছে কিনা তার সত্যতা যাচাই করে থাকে ।
প্রার্থীর বিরুদ্ধে পূর্বে যদি কোন মামলা থেকে থাকে ,সেই মামলার খারিজের সত্যতা যাচাই করা ।এ সকল বিষয় সাধারণত পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় যাচাই -বাছাই করা হয়ে থাকে যাকে আমরা পুলিশ ভেরিফিকেশন বলে থাকি।

পুলিশ ভেরিফিকেশনে সাধারণত কতদিন সময় লাগে


আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে একটি কথা আপনাকে আমি বলতে চাই কথাটি হল আমাকে ডাকা হয়েছিল পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ।আমি গিয়েছিলাম সেখানে মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই আমার পুলিশ ভেরিফিকেশন টা সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছেল। তবে আপনার ক্ষেত্রে এমনটা নাও হতে পারে। পুলিশ ভেরিফিকেশননে সাধারণত দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হতে পারে ।তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে ।তবে সর্বোচ্চ ১৫- ২০ দিনের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে থাকে।

আপনার ক্ষেত্রে যদি পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হয়ে যায় এবং এর রিপোর্টটি ঢাকা পাসপোর্ট অফিসে প্রেরণ করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসের একজন কর্মকর্তা আপনার কাগজপত্র চেক করে চূড়ান্তভাবে পাসপোর্ট এর জন্য অনুমোদন প্রদান করবে ।এখানে আবেদনকারী তেমন একটা ভূমিকা নেই বললেই চলে ।থানা থেকে একজন নির্ধারিত পুলিশ কর্মকর্তা আবেদনকারীর সত্যতা যাচাই করে থাকে ।এ ব্যাপারে তার ব্যক্তিগত এবং আনুষাঙ্গিক তথ্য অনুসন্ধানের জন্য আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র, নাগরিক সনদপত্র চাওয়া হতে পারে।

পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া


পাসপোর্ট আবেদন করার পরে পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সময় যখন পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করতে যাবেন তখন আপনাকে 
Check application status 
Pending sb police verification 
Dear,Homaun kobir,your e-passport application is pending for sb police verification.
এই মেসেজটি আপনার ফোনে দেখাবে।
এরপর ধরে নিতে হবে আপনার পাসপোর্টটি পুলিশ ভেরিফিকেশন এর জন্য অপেক্ষায় আছে। এরপর আপনার স্থায়ী ঠিকানার একজন এসআই কর্মকর্তা আপনাকে ২ থেকে ৪ কর্ম দিবসের মধ্যে কল করতে পারেন এবং আপনাকে থানায় উপস্থিত হওয়ার কথা বলা হতে পারে ।আপনি তখন থানায় সব ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে যাবেন ।
যেমন -নাগরিক সনদপত্র ,বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি ,পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি , অনলাইন ফটোকপি ,ভোটার আইডি কার্ড এবং ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এ সমস্ত ডকুমেন্ট সাথে করে নিয়ে যাবে ।এভাবে পুলিশকে সাহায্য করতে পারেন।

পুলিশ ভেরিফিকেশনে কত টাকা লাগতে পারে


পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য কোন টাকা লাগবে কি লাগবেনা এ বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। অনেকের ক্ষেত্রে লাগে আবার অনেকের ক্ষেত্রে লাগেনা ।যেমন - আমাকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য থানায় ডাকা হয়েছিল আমার কাছ থেকে একটি টাকাও নেয়া হয়নি।

ই -পাসপোর্ট এর মেয়াদ কত বছর


৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এবং ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট চলমান রয়েছে । আপনি চাইলে ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে পারবেন এবং আপনি চাইলে ১০ বছর মেয়েদের জন্য পাসপোর্ট করতে পারবেন এটা আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাস থাকতেই আপনাকে পাসপোর্ট রিনিউ করে নেয়া উচিত তবে এটা বাধ্যতামূলক না।

 আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ যদি ছয় মাসের কম থাকে তাহলে আপনাকে ভিসা প্রদান করা হবে না। আপনি আপনার পাসপোর্ট এর মেয়ার পাঁচ থেকে ছয় মাস থাকার আগে পাসপোর্ট রিনিউ করে নিতে পারে।

শেষ কথা


সম্মানিত পাঠক, এই আর্টিকেলটি নির্ভুলভাবে লেখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরেও কোন ভুল থাকবে না এমনটি দাবি করা যায় না। পাঠক বন্ধুরা ভুল চিহ্নিত করে জানালে সংশোধনের উদ্যোগী হব। এ ধরনের আর্টিকেল আপনি পড়তে চাইলে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন ।এই পর্যন্ত আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 








































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪