OrdinaryITPostAd

মোবাইল ফোনের ইতিহাস এবং উপকারিতা ও অপকারিতা

সম্মানিত পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটিতে মোবাইল ফোনের ইতিহাস,মোবাইল ফোনের কার্যপ্রণালী ,বাংলাদেশে প্রচলিত মোবাইল কোম্পানি সমূহ ,বাংলাদেশি মোবাইল ফোনের কার্যকারিতা ও রেডিয়েশন ,যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে মোবাইল ,মোবাইলের ক্ষতিকারক দিক ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।


আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

পোস্ট সূচিপত্রঃমোবাইল ফোনের ইতিহাস এবং উপকারিতা ও অপকারিতা।

  • ভূমিকা
  • মোবাইল ফোনের ইতিহাস।
  • মোবাইল ফোনের কার্যপ্রণালী।
  • বাংলাদেশে প্রচলিত মোবাইল কোম্পানি সমূহ।
  • বাংলাদেশী মোবাইল ফোনের কার্যকারিতা ও রেডিয়েশন।
  • যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মোবাইল।
  • মোবাইলের ক্ষতিকারক দিক।
  • মোবাইল ফোনের উপকারিতা।
  • শেষ কথা

ভূমিকা

আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ ।মানব কল্যাণে বিজ্ঞানের অবদান যে কত ব্যাপক তা প্রতিদিনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা থেকে অনুভব করা যায় ।বিজ্ঞান তার বিস্ময়কর আবিষ্কার এর দ্বারা মানুষের জীবনকে সুখ স্বাচ্ছন্দে ভরে দিয়েছে ।মানুষের সুখ -স্বাচ্ছন্দের একটি নতুন ও বিস্ময়কর সংযোজন হল মোবাইল ফোন, প্রয়োগের ক্ষেত্র ও প্রয়োজনীয়তা। যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের প্রভাব এতটাই বেশি যে ,একে বাদ দিয়ে আধুনিক জীবন যেন অচল।

মোবাইল ফোনের ইতিহাস

সর্বপ্রথম বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল দূরে অবস্থিত মানুষের সঙ্গে বার্তা বা কথা পৌঁছাতে সক্ষম হন। এরপর মারকনি ওই প্রযুক্তিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যান।আলেকজান্ডার ও মার্কনির সূত্র ধরে ডেটরয়েট কার- মোবাইলের প্রচলন করেন পুলিশের গাড়িতে।১৯৬৫ সালে স্টকহোমে কার টেলিফোন এর ব্যবহার শুরু হয়।যার আকার ছিল একটি প্রমাণ সাইজের সুটকেসের সমান এবং ওজন ছিল৪০কেজির ওবেশি ।

কিন্তু নানা রকম সমস্যার কারণে এর ব্যবহারিক উপযোগিতা ছিল খুব কম। পরবর্তী সময়ে এর আধুনিকায়ন করা হলে উপযোগিতা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট, কম্পিউটার,মাল্টিমিডিয়া সহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

মোবাইল ফোনের কার্যপ্রণালী

মোবাইল ফোন সিস্টেমে একটি শহরকে ছোট ছোট সেল এ ভাগ করা হয়। যার ফলে শহরের মধ্যে ফ্রিকোয়েন্সি পুনঃপুন ব্যবহার করা হয়। আর এর ফলে একই সময়ে একই শহরে লক্ষ লক্ষ লোক সেল ফোনে কথা বলতে পারে। 

প্রতিটি সেল একটি রিলে স্টেশন থাকে যাতে একটি টাওয়ার ও ছোট বিল্ডিং থেকে রেডিও ইকুপমেন্ট সহ সেলফোন ও রিলে উভয়েই লো পাওয়ারে সিগন্যাল আদান-প্রদান করে। প্রতিটি সেল ১০ বর্গমাইল বা তারও কম বেশি হতে পারে। প্রতিটি শহর একটি কেন্দ্রীয় অফিস এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ হয়, যাকে বলে মোবাইল টেলিফোন সুইচিং অফিস।

বাংলাদেশ প্রচলিত মোবাইল কোম্পানি

বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।এদেশের প্রায় কোটি লোক মোবাইল ফোন নিয়মিত এবং স্বল্প সংখ্যক অনিয়মিতভাবে ব্যবহার করছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ছয়টি মোবাইল কোম্পানি রয়েছে।এগুলো হল গ্রামীন,বাংলালিংক, রবি, সিটিসেল, এয়ারটেল এবং টেলিটক।

বাংলাদেশি মোবাইল ফোনের এর কার্যকারিতা ও রেডিয়েশন

মোবাইল ফোনকে একটি টু -ওয়ে ট্রান্সমিটার কথা চলে, যা তথ্য গ্রহণ ও প্রদান দুটোই করতে পারে। মোবাইল ফোনে যখন কোন তথ্য পাঠানো হয় তখন তা থেকে ওয়েব এর মাধ্যমে নিকটবর্তী কোন স্টেশন গ্রহণ করে নির্দিষ্ট মাত্রায় পুনরায় তা ছেড়ে দেয়।আমাদের দেশে সাধারণত ৮০০- ৯০০ মেগাহার্টস এর ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয়।গ্রামীণ, রবি, বাংলালিংক ৯০০ মেগাহার্টস এবং সিটিসেল ব্যবহার করছে ৮০০ মেগাহার্টস।

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে মোবাইল

মোবাইল ফোন যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধন করেছে । সমগ্র বিশ্বকে হাতের মুঠোয় বন্দী করে দিয়েছে এই মোবাইল ফোন। মুষ্টিবদ্ধ মোবাইলটির কাছে কান পাতলে মুহূর্তেই বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবের আদান-প্রদান ঘটে ।তারবিহীন ও সহজ পরিবহন ও ব্যবহার বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নদীর প্রবাহের মতো সহজ করে দিয়েছে।সারা বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ক্ষুদ্র একটি সেটের মধ্যে বন্দি করে ফেলেছে।

 এর চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় আর কি হতে পারে? বিপদে -আপদে ,আনন্দ -বেদনায় জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল এখন প্রতিটি মানুষের নৃত্যসাথী। তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে মোবাইলের বিকল্প এখন আবিষ্কৃত হয়নি। রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে দিনমজুর পর্যন্ত মোবাইল ফোনের ব্যবহারে কোন ভেদাভেদ নেই ।

আর একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মোবাইল কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করছে। মোবাইলে শুধু কথায় হয় না ,এসএমএস এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সংবাদ মুহূর্তে পৌঁছে দিতে পারে ।প্রিয়জনের সাফল্যে অভিনন্দন প্রেরণ এবং নিজের সুসংবাদ কিংবা দুঃসংবাদ বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান ,উৎসবে আমন্ত্রণ- নিমন্ত্রণে মোবাইল যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে।

ইদানিং মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলা, খেলাধুলা,,স্বাস্থ্যসেবা, সংবাদ প্রেরণ ছাড়াও বিভিন্ন সেবা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।মোবাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের খবর সহজে পাওয়া যায় এবং ঘরে বসে যে কারোর সঙ্গে অনায়াসে যোগাযোগ করা যায়।

ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর মাধ্যমে যেকোনো সময় যেকোন তথ্য পেতে পারে মোবাইলের সাহায্যে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোবাইল যেন জাদুর কাঠি।যার স্পর্শে হাজার রকমের ভাবের লেনদেন যেমন সম্ভব তেমনি নানা রকম নিত্য প্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ড সহজেই করা সম্ভব। গান-বাজনা, সিনেমা দেখা ইত্যাদি বিনোদনমূলক কাজে মোবাইল ফোনের ব্যবহার সত্যিই বিস্ময়কর। 

স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল ক্যামেরা,ভিডিও ক্যামেরা। আজকাল মোবাইলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল ,গ্যাস বিল অন্যান্য কাজ সহজেই করে নেয়া সম্ভব হচ্ছে ।মোবাইল কোম্পানিগুলো জাতীয় দিবসের প্রতিপাদ্য এবং সরকারের আদেশ খবর গ্রহণের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করছে।মোবাইলের কথা বলার স্থান নির্বাচন করে এবং কথাবার্তা গতিপরিধি নির্ণয় করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করছে। মোটকথা মোবাইল যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

মোবাইলের ক্ষতিকর দিক

মোবাইলের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সস্তা ও সহজসাধ্য করলেও এর কিছু ক্ষতিকারক দিক রয়েছে । চুরি, ডাকাতি,সন্ত্রাস প্রভৃতি অসামাজিক কার্যকলাপে মোবাইল ফোন সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মোবাইল এর মাধ্যমে সহজেই সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারী চক্রের দ্বারা নাশকতামূলক কার্যক্রম সংঘটিত হতে পারে।মোবাইলের নেটওয়ার্কের কারণে অগ্রিম সংবাদ পেয়ে দুষ্কৃতীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। 

মোবাইল এর মাধ্যমে দুষ্কৃতিকারীরা হুমকি প্রদান করে কারো কারো মনে ভীতি সঞ্চারও করে থাকে। মোবাইল ফোনের কারনে স্কুল -কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় অনেক ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন মানবদেহে ক্ষতি সাধন করে থাকে।এর রেডিয়েশন মানুষের দেহে উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে ব্রেন টিউমারের মত কঠিন রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। 

এছাড়া নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত করে, রক্তের উপাদানগত পরিবর্তনেও রেডিয়েশন প্রভাব ফেলতে পারে।মোবাইলের রিংটোন হার্টের জন্য প্রচন্ড ক্ষতিকর। আজকাল যন্ত্রের উপর নির্ভর করে যেন আমাদের নিত্য পথ চলা ।যন্ত্রের সঙ্গে আমরাও হয়ে পড়েছি যান্ত্রিক। 

যন্ত্র আর যান্ত্রিকতার সঙ্গে দৌড়ে আমরা যেন ক্রমেই হাপিয়ে উঠছি। যান্ত্রিকতা মানুষকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ আরাম দিয়েছে বটে কিন্তু ,জীবনকে করেছে আবেগ শূন্য। 

জীবনের এই আবেগরিক্ততা মনুষ্যত্বকেও অনেকখানি নিঃস্ব করে দিয়েছে ।মানুষ যেন আর কথা বলতেও নারাজ -আবিষ্কার করেছে রোবট আজকের দিন এমন রোবট ও আবিষ্কৃত হয়েছে যে কিনা মানুষকে দিবে শারীরিক সুখ আর সবুজ কোমল পৃথিবী কেউ ছেড়ে যেতে দ্বিধা নেই তার সে পাড়ি দিতে চাই মঙ্গল গ্রহে কিংবা ভিন্নতর কোন গ্রহে সে খুঁজে বেড়াচ্ছে নতুন গ্রহ এ কেবলই আবিষ্কারের নেশা বই কি।

মোবাইল ফোনের উপকারিতা

মোবাইলের কিছু ক্ষতিকর দিক থাকলেও এর  উপকারের দিক বেশি।যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এর রয়েছে যুগান্তকারী ভূমিকা ।মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের সামাজিকতা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি মানুষের দায়িত্ব অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে ।মোবাইলের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনকে সুখে -স্বাচ্ছন্দে ভরে তুলতে পারি, এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

শেষ কথা

সম্মানিত পাঠক, আপনি যদি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই অবশ্যই মোবাইল ফোনের ইতিহাস এবং উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। আপনি যদি এইরকম পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪