ই -মেইল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলটিতে ই -মেইল কি?ই-মেইলের উদ্ভাবন কিভাবে হয় ,ইমেইল কিভাবে কাজ করে, ই-মেইলের সুবিধা,চাকরি দরখাস্ত প্রেরণের ক্ষেত্রে,ই-মেইল সময় কম লাগে, ই-মেইল অর্থ বাঁচায়, ই- মেইলের মাধ্যমে গোপনীয়তা রক্ষা, ই-মেইল ব্যবহার সহজ,
ই-মেইলের অপকারিতা এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ই-মেইল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
- ই-মেইল কি
- ই-মেইলের উদ্ভাবন কিভাব
- ই-মেইল কিভাবে কাজ করে
- ই-মেইলের সুবিধা
- চাকরি দরখাস্ত প্রেরণের ক্ষেত্রে ই-মেইলের ব্যবহার
- ই-মেইল সময় কম লাগে
- ই-মেইল অর্থ বাঁচায়
- ই-মেইলের মাধ্যমে গোপনীয়তা রক্ষা
- ই-মেইল ব্যবহার সহজ
- ই-মেইলের অপকারিতা বা ক্ষতিকার দিক
- শেষ কথা
ইমেইল কি
ই-মেইল বলতে ইলেকট্রনিক্স মেইল কে বুঝায়।বর্তমানে তথ্য প্রচারে ও যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ই-মেইল বেশ জনপ্রিয়।আগের দিনে চিঠিপত্র পাঠানোর কাজে ডাক বা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করত।
বর্তমানে ডাক বা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার না করেই পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে চিঠি পাঠানো সম্ভব হয় ই-মেইলের মাধ্যমে।পৃথিবীর যে প্রান্তে নেটওয়ার্ক আছে সেই প্রান্তে ই-মেইল পাঠানো সম্ভব হবে। ই-মেইল পাঠাতে হলে নেট কানেকশন ও একটি কম্পিউটার বা মোবাইল থাকা প্রয়োজন।
ই-মেইলের উদ্ভাবন কিভাবে
তথ্য আদান -প্রদানের ক্ষেত্রে ই-মেইল একটি অন্যতম প্রযুক্তি। ১৯৬৯ সালে ইন্টারনেটের সূত্রপাত ঘটে এবং শুরু হয় ই-মেইল পাঠানোর প্রক্রিয়া। বিশ্বের দুই পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। এই দুই পরাশক্তির মধ্যে চরম যুদ্ধের কারণে উভয় পক্ষের বিশারদগণ পারমাণবিক বোমার আতঙ্কে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠেন।
তারা মনে করেন পারমাণবিক বোমার কারনে যোগাযোগ মাধ্যম ধ্বংস হতে পারে। যোগাযোগ মাধ্যম ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা বিকল্প হিসেবে ই-মেইল আবিষ্কার করেন। এরপর থেকে ই-মেইল ব্যবহার বিশ্বব্যাপী শুরু হয়।
ই-মেইল কিভাবে কাজ করে
ই-মেইল এর জন্য সার্ভার প্রয়োজন ।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধান প্রধান শহরে স্থাপন করা হয় সার্ভার। সার্ভার এর থাকে নিজস্ব কিছু গ্রাহক,এদেরকে সাধারণ গ্রাহক বলে। লোকাল কল এর মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকগণ প্রধান শহরে স্থাপিত সার্ভার এর সাথে সংযুক্ত হয়ে তথ্যসমূহ উক্ত সার্ভারে প্রেরণ করেন। তারপর প্রধান সার্ভার এ জমাকৃত তথ্য চলে যায় নিজ নিজ ঠিকানায়। নেটওয়ার্কের গতি বেশি থাকলে সার্ভার কাজ করে দ্রুত। তাই যেসব এলাকায় নেটওয়ার্ক ভালো সে সব এলাকায় ই-মেইল দ্রুত চলে যায়।
ই-মেইলের সুবিধা
ই-মেইল ব্যবহারে সুবিধা অনেক। বিদেশের ডাটা আদান-প্রদান করতে হলে ফ্যাক্স বা আইএসডি ফোনের সাহায্য নিতে হয় এক্ষেত্রে টাকা ও সময় ব্যয় হয় বেশি। কিন্তু যদি আমরা ই-মেইল ব্যবহার করে ওই সংবাদ বা ডাটা আদান প্রদান করি তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে কম খরচে বাইরের দেশে পাঠাতে পারি। এছাড়াও ইমেইলের কিছু সুবিধা রয়েছে।
চাকরি দরখাস্ত প্রেরণের ক্ষেত্রে ইমেল এর ব্যবহার
চাকরির দরখাস্ত প্রেরণ বর্তমান সময়ে ই-মেইলের মাধ্যমে হয়ে থাকে। যে যে প্রতিষ্ঠানের চাকরি করতে ইচ্ছুক সে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির তারিখ অনুযায়ী যে কেউ দরখাস্ত ই-মেইল করতে পারে। খুব অল্প সময়েই দরখাস্ত প্রেরণ করা যায় ই-মেইলের মাধ্যমে।
ই-মেইল সময় কম লাগে
আগের দিনে একটি গুরুত্বপূর্ণ টেলিগ্রাম আসতে অনেক সময় লাগত। কিন্তু ই-মেইল উদ্ভাবনের ফলে চিঠিপত্র অল্প সময়ের মধ্যে প্রাপকের কাছে চলে আসে।
ই-মেইল অর্থ বাঁচায়
আমাদের দেশের অনেক মানুষ বিদেশে থাকেন। অনেক মানুষের ব্যবসার পরিধি দেশ থেকে বিদেশে ছড়িয়ে গেছে। অফিসের দৈনন্দিন কাগজপত্র এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাঠানোর জন্য ই-মেইল ব্যবহার করা হয়। আগের দিনে যেখানে ব্যয় হত ১০০ টাকা এখন সেখানে ব্যয় হচ্ছে ১০ টাকা। এজন্য আমরা বলতে পারি ই-মেইল অর্থ বাঁচায়।
ই-মেইলের মাধ্যমে গোপনীয়তা রক্ষা
ই-মেইলে গোপনীয়তা রক্ষা করা যায়। ই-মেইল ব্যবহারকারী প্রত্যেকের একটি করে ইমেইল একাউন্ট নম্বর থাকে। নির্দিষ্ট স্থানে একাউন্ট নম্বরটা না বসালে ই-মেইল খুলবেনা। এক্ষেত্রে যে যার ই-মেইল ব্যবহার করতে পারবে অন্যের ইমেল ব্যবহার করতে পারবে না।
আমরা যদি ডাক বা অন্যভাবে চিঠি আদান প্রদানের কথা বলি সে ক্ষেত্রে গোপনীয়তা একটু কমই রক্ষিত হয়। অনেক সময় চিঠি বা গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হারিয়ে যায়। ই-মেইলের ক্ষেত্রে হারানো বা একজনের ইমেল অন্যজন কোন ভাবে দেখতে পারে না।এজন্য বলা হয় ই-মেইলে গোপনীয়তা রক্ষিত হয় সবসময়।
ই-মেইল ব্যবহার সহজ
ই-মেইল ব্যবহার সহজ।কম্পিউটার বা মোবাইল এবং নেট কানেকশন থাকলে ই-মেইল ব্যবহার
সহজ। তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে অন্য কোন মাধ্যমে বিভিন্ন ঝামেলা ভোগ করতে
হয়,কিন্তু ই-মেইল ব্যবহারে অন্য কোন ঝামেলা ভোগ করতে হয় না সহজে যে কেউ ই-ইমেল
ব্যবহার করে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে।
ই-মেইলের অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক
ই-মেইল এর কিছু অপকারিতা আছে। অনেক সময় দেখা যায় দুষ্ট লোকেরা অন্যজনের একাউন্ট নম্বর হ্যাক করে। শুধু হ্যাক করেই শান্ত থাকে না, হ্যাক করা অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকাররা ভীতিকর, অশ্লীলতা খবর প্রচার করে। এক্ষেত্রে ই-মেইল ব্যবহারকারী অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই সচেতনতা অবলম্বন করে ই-মেইল ব্যবহার করতে হবে।
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক ,আপনি যদি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে
থাকেন তাহলে আপনি ইতিমধ্যে জেনে গেছেন ই-ইমেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। এ ধরনের
তথ্যপ্রযুক্তি মূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চাইলে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন
এবং সেই সাথে আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url